মঙ্গলবার ১৭ জুলাই ২০০৭ দিন ৯৬শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া ছিল ব্যাপক। ছাত্রলীগ ও যুবলীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ ও মিছিল বের হয়েছে। দলীর কর্মী ও সমর্থকরা দেশব্যাপী বিক্ষোভ ও মিছিলের আয়োজন করেছে। কতদিন এটা চলবে এবং কোথায় এর শেষ পরিণতি, তা হবে একটা দেখার বিষয়। জনগণের ধারণা যে, আমেরিকা, বৃটেন এবং ভারত হাসিনা ও খালেদাকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংস্কার নিয়ে আসতে আগ্রহী। তারা এখন ‘মাইনাস টু থিওরিকে সমর্থন করেছেন। কিন্তু এ ধরনের পরিকল্পনা কেবল সাময়িকভাবে ২-৩ বছর যাবৎ চলতে পারে চিরস্থায়ীভাবে নয়।
দুর্নীতি দমন কমিশন আমার কাছে আরো একটি নোটিশ পাঠিয়েছে। আমার বিরুদ্ধে আরো চারটি মামলা দায়ের করবে এবং যে কোনো উপায়ে হোক আমাকে সাজাদানের বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
আমার ট্যাক্স পরিশোধহীন আয়ের বিবরণীসহ কাগজপত্র শেষ পর্যন্ত ট্যাক্স কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।
যৌথবাহিনী কর্তৃক বেআইনিভাবে আমার চেম্বারে তল্লাশি চালানোর অভিযোগে আমার পক্ষে আদালতে একটি রিট আবেদন করা হয়েছে।
বুধবার ১৮ জুলাই ২০০৭ দিন ৯৭আমার চেম্বারে অবৈধ তল্লাশি এবং আমার কাগজপত্র আদালতের বিনা ওয়ারেন্টে জব্দ করা এবং আমাকে কোনো জব্দ তালিকা না দেওয়ার বিরুদ্ধে রিট পিটিশন করে আমি আদালতের কাছ থেকে আরো ভালো রায় প্রত্যাশা করেছিলাম। কিন্তু জরুরি অবস্থা বহাল থাকায় আইন এখন কোনো পর্যায়েই কাজ করছে না বিচারপতি খায়রুল হক পঞ্চম সংশোধনীর ওপর সামরিক আইনের বিরুদ্ধে এক বিরাট রায় দিয়েছিলেন, অথচ তিনিই এখন জরুরি আইনের বিরুদ্ধে কোনো রায় দেওয়ার সাহস হারিয়ে ফেলেছেন। আমার বিরুদ্ধে অত্যন্ত অবিচার করা হলেও তিনি তাৎক্ষণিকভাবে এর প্রতিকারের জন্য কোনো আদেশ দিতে পারেননি। জরুরি আইনকে তিনি সংবিধানের উপরে প্রাধান্য দিয়েছেন। পঞ্চম সংশোধনীর ওপর রায়ের সঙ্গে এর কী এক বিরাট বৈপরীত্য? বিচারক আমার পক্ষে কোনো আদেশ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। এতে বোঝা যায় তার আগের রায়টি ছিল রাজনৈতিকপ্রসূত।
কখনো কখনো তিন থেকে চার ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। গায়ে কোনো গেঞ্জি বা শার্টবিহীন অবস্থায় থাকতে হচ্ছে। এটা অসহনীয় একটি ব্যাপার
এডভোকেট আজিজুল হক যৌথবাহিনীর নির্যাতনমূলক হুমকির কাছে মাথানত করেছেন। আমার পক্ষে উনি আর কোনো কাজ করবেন না। আমার জন্য এ এক বড় ধরনের দুঃসংবাদ। আমি অত্যন্ত হতাশ। কিন্তু এজন্য আমি তাকে দোষ দিতে পারি না।
বৃহস্পতিবার ১৯ জুলাই ২০০৭ দিন ৯৮রাজনীতি রাষ্ট্রের জন্ম দেয় এবং রাজনীতিই রাষ্ট্রব্যবস্থাকে পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত করে। কিন্তু বর্তমান সরকার রাজনীতির মেরুদ- ভেঙে দিয়ে প্রকারান্তরে রাষ্ট্রের মেরুদ-ই ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছে। হয়তো এ খেলায় খেলোয়াড়রা নিজেরাই তাদের কর্মপ্রক্রিয়া ও তার ফলাফল সম্পর্কে সবকিছু বুঝে উঠতে পারছে না। কিংবা তারা বিদেশি কোনো শক্তির অনুপ্রেরণায় অত্যন্ত সচেতনভাবেই সুগভীরে প্রোথিত এক ষড়যন্ত্রের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করছে।
আওয়ামী লীগ একটি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শেখ হাসিনা জেলে থাকাকালীন তারা দলীয় সংস্কারের কোনো পদক্ষেপ নেবে না। তার গ্রেপ্তারে দল আরো ঐক্যবদ্ধ হয়েছে এবং সংস্কারবাদীদের অবস্থান আরো দুর্বল হয়েছে। খালেদা জিয়া গ্রেপ্তার হওয়ার পর বিএনপিতেও অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে। এ দুই নেত্রীকে জেলখানায় আবদ্ধ রেখে দেশে কীভাবে একটি নির্বাচন বা নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ সৃষ্টি করা যাবে?
নিজস্ব এলাকা নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ সফরের উদ্দেশ্যে সেনাবাহিনী প্রধান সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় প্রটোকল ব্যবহার করছেন। শুধু তাই নয়, তার এক ভাইও এ প্রটোকল ব্যবহার করেছেন। সচরাচর সরকার প্রধানকেই এ ধরনের উচ্চ পর্যায়ের প্রটোকল প্রদান করা হয়ে থাকে। তিনি হয়তো জানেন না যে, বেগমগঞ্জ হলো বিএনপি’র সমর্থকদের এক দুর্ভেদ্য দুর্গ। এ সত্ত্বেও তিনি সেখানে গিয়েছেন জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় করতে। নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণ করতে সামরিক নেতারা প্রায়ই এভাবে নিজেদের জনগণের সামনে প্রচার ও প্রকাশ করার প্রয়াস পান।
শুক্রবার ২০ জুলাই ২০০৭ দিন ৯৯প্রায় ৭ ঘণ্টা বিদ্যতের সরবরাহ ছিল না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান এখন চাঁদাবাজির মহোৎসবে পরিণত হয়েছে এবং এবং ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযানের’ মূল উদ্দেশ্যই এখন ব্যর্থ হতে চলেছে। সরকারি এজেন্সিগুলো এহেন নির্যাতন ও অত্যাচারের মধ্য দিয়ে ব্যবসায়ীকে পুলিশের কাছে রাজনীতিবিদদের নামে মামলা দায়ের করার জন্য চাপ দিচ্ছে এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সে মামলাগুলো বিবেচনা করছে দুর্নীতির মামলা হিসেবে। শেখ হাসিনা এবং তারেক রহমানসহ রাজনীতিবিদদের নামে এ ধরনের কমপক্ষে ৫০টি মামলা রুজু করা হয়েছে। এছাড়াও যারা এখনো জেলে আছেন, এমনকি যারা ইতিমধ্যেই ১০ থেকে ১৩ বছরের জন্য সাজা ভোগ করছেন তাদের অনেকের নামেও নতুন নতুন অভিযোগ তুলে ধরে এ ধরনের মামলা দায়ের করা হচ্ছে। বাস্তবে তা সরকারের দিকভ্রান্ত ও লক্ষ্যহীন এক ধরনের কর্মপ্রক্রিয়ারই প্রতিফলন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের এক সাধারণ সভায় শেখ হাসিনার মুক্তি ও খালেদা জিয়াকে অপদস্থ না করার দাবি জানিয়ে সর্বসম্মতভাবে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন। একইসঙ্গে তারা ২১ জুলাই একযোগে কালোব্যাজ ধারণ ও ২২ জুলাই আধাবেলা কর্মবিরতির কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। শিক্ষকেরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা মঈনুল হোসেনের পদত্যাগও দাবি করেছেন।
শনিবার ২১ জুলাই ২০০৭ দিন ১০০আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিনে দিনে চরম অবনতির দিকে যাচ্ছে। গত দু’দিনে এক এডভোকেটসহ রাজধানীতে দু’জন যুবতী খুন হয়েছে। চট্টগ্রামে সরকারি কর্মচারী প্রীতিরঞ্জন চাকমা এবং ঢাকায় জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার জনৈক শেখ আবদুর রহমানকে খুন করা হয়েছে। ঢাকার অদূরে কালিয়াকৈরে কাক ও কুকুরকে রাস্তায় পড়ে থাকা দু’টি মৃতদেহের খণ্ডিতাংশ ভক্ষণ করতে দেখা গেছে।
খুলনায় বন্ধ হয়ে যাওয়া জুট মিলের কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সাহায্যার্থে খোলা গণশিবির ও লঙ্গরখানাগুলো সরকার বন্ধ করে দিয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিশেষ অনুমতি নিয়ে আশি বছর বয়সেরও বেশি বয়স্ক আমার বড়ভাই মুহাম্মদ মাসুম জেলখানায় আমার সঙ্গে দেখা করতে এলে জেলগেটে তাকে রোদ ও বৃষ্টির মধ্যে আড়াই ঘণ্টারও বেশি সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। এ ধরনের আচরণের কোনো কারণ দেখানো হয়নি। তাকে অপদস্থ করাই ছিল ওদের লক্ষ্য।
আমার সম্পদ বিবরণী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জমা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জেল কর্তৃপক্ষ বিনা কারণে তা আটকে দেয় এবং একদিন পর সেগুলো রিলিজ করা হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল সরকারকে দেখানো যে, আমি সম্পদ বিবরণী দাখিলে দেরি করেছি। সময় অনুযায়ী তা করতে ব্যর্থ হলে আমাকে তিন বছরের জন্য সাজাও দেওয়া যাবে।
রবিবার ২২ জুলাই ২০০৭ দিন ১০১শ্রাবণ মাসের বৃষ্টি ঝরে পড়ছে অঝোর ধারায়। এরই মধ্যে কোর্টে হাজিরা দিয়েছি। হাইকোর্ট থেকে মামলা স্থগিত রাখার আদেশ বহাল রয়েছে- কাজেই মামলার কাজ কিছুই হয়নি। হাইকোর্ট থেকে বহালাদেশ না আসায় আমার জেলখানা থেকে বের হওয়ার একটা সুযোগ হয়েছে- আমি আইনজীবী ও শুভাকাক্সক্ষীদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করতে পারি, দেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা ও ভাববিনিময় করতে পারি এবং এর পাণ্ডুলিপি কারো হাতে দিয়ে আমার সেক্রেটারি অশোক বাবুর টাইপ করা কপি পরীক্ষণের জন্য ফিরিয়ে নিয়ে আসতেও পারি। তাছাড়া নাফিসা, শাকের, জ্যোতি বা গ্রাম থেকে আসা আমার কয়েকজন কর্মীর সঙ্গেও কোর্টে দেখা হওয়ার সুযোগ থাকে।
রেডিও এবং খবরের কাগজে একই ধরনের প্রচারণা চালানো হচ্ছে। তারা এমন একটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করছে যে, দেশে রাজনীতিবিদদের দুর্নীতি ছাড়া অন্য কোনো সমস্যা নেই। এ ব্যাপারে সরকারের সবচাইতে উচ্চকণ্ঠ প্রতিনিধি হলেন আইন উপদেষ্টা মঈনুল হোসেন এবং স্বঘোষিত সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান জেনারেল (অব.) এমএ মতিন- যার দায়িত্ব হলো ‘দুর্নীতিবাজ’ রাজনীতিবিদদের তালিকা প্রস্তুত করে তা সংবাদপত্রে রটনার জন্য প্রকাশ করা। এদের উভয়ের মধ্যেই লোকদেখানো একটা ভাব রয়েছে এবং দু’জনেই হয়তো জ্ঞাত আয়ের বাইরেও অনেক বেশি সম্পত্তির মালিক। ঠিক এ কারণেই তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে নিজেরাই সোচ্চার। আশা করা যায়, একদিন তাদেরকেও কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। নির্বাচন কমিশনাররা, বিশেষ করে কমিশনের চেয়ারম্যানও প্রায় প্রতিদিনই নানা ধরনের অনভিপ্রেত বক্তব্য রাখছেন। তারাও জোর গলায় কথা বলছেন, কারণ তারা নিজেরাও জানেন যে, সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগে তারা একদিন অভিযুক্ত হবেন। সংবিধানের ১২৩(৩) অনুচ্ছেদ বলে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতার সময় অনেক আগেই পেরিয়ে গেছে। অবশ্য বাড়তি পুরস্কার হিসেবে টিভি’র পর্দায় তারা মুখ দেখাতে পারছেন প্রায় প্রতিদিনই ।
সোমবার ২৩ জুলাই ২০০৭ দিন ১০২সামরিক গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আমার সমস্ত ফাইল, রেকর্ড, দলিলপত্র ও ব্যাংক দলিল বাজেয়াপ্ত করে নেওয়ায় এবং আইনজীবীদের সঙ্গে অর্থবহ কোনো আলোচনা করার সুযোগ না থাকায় আমাকে অনুমানের ওপর নির্ভর করে সম্পত্তির বিবরণী ও আয়-ব্যয় এবং রোজগারের উৎস ব্যাখ্যা করে জেল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সব জমা দিতে হলো। আজকের মধ্যে সেগুলো জমা দিতে না পারলে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ২৬(২) ধারা অনুসারে আমাকে তিন বছরের জন্য তাৎক্ষণিক সাজা দিতে পারতো। কিন্তু জেল কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ না দেখিয়ে এবং পুরোপুরিভাবে বেআইনি কায়দায় দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানের বরাবরে দাখিলকৃত আমার প্রতিবেদনসহ বিবরণী আমার নিকট থেকে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়। আমার লেখা প্রতিবেদনটি ছিল সঙ্গে দেওয়া বিবরণীরই অবিচ্ছেদ্য একটি অংশ। যাই হোক তাদের সঙ্গে দীর্ঘ বাকবিতণ্ডার পর শেষ পর্যন্ত আমার আবেদনকে আলাদাভাবে কমিশনের কাছে পাঠানো হয়। এভাবে সুবিচার ও ন্যায্য আচরণ পাওয়ার প্রতিটি স্তরে ক্রমাগত অন্তরায় সৃষ্টি করে জেল কর্তৃপক্ষ ও সরকার আমাকে বারংবার নাজেহাল করে চলেছে। অন্যভাবে বলা যায়, প্রতিটি পর্যায় ছিল আমার এ অপদস্থতা, নিগ্রহ ও অপমানের এক প্রকট দৃষ্টান্ত।
হাসনা, আমান ও আনা কেমন আছে তা ভেবে ভেবে মাঝে-মধ্যে আমি উদ্বিগ্ন হয়ে উঠি। আমি জানি না জীবন ধারণের জন্য টাকা-পয়সা তাদের রয়েছে কি না, ওদের সঙ্গে কোনোরকম যোগাযোগও আমি করতে পারছি না।
(চলবে..)
আরো পড়ুন-
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১)মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৩) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৪) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৫) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৬) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৭)মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৮) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৯) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১০) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১১) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১২) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৩) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৪) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৫) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৬) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৭) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৮) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৯)মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২০) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২১) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২২)মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২৩)মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২৪)মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২৫) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২৬) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২৭) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২৮) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২৯) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৩০) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৩১)মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৩২) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৩৩)