আজ ষোলতম রমজান। পবিত্র রমজান মাস এবং পবিত্র আল কোরআন দুটোই একে অপরের সঙ্গে পবিত্রতম সম্পর্ক। আল্লাহর জিকিরের মধ্যে সবচেয়ে উত্তম জিকির হলো পবিত্র আল কোরআন তেলাওয়াত করা। রমজান মাসে রোজাদারবৃন্দ খুবই উৎসাহিত হয়ে কোরআনুল করিম তেলাওয়াত করে থাকেন। কোরআন তেলাওয়াতের সময় কিছু আদবের দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। হযরত ইবনে কাছীর (রহ.) পবিত্র আল কোরআন তেলাওয়াতের কতিপয় আদব বর্ণনা করেছেন যে, পবিত্রতা অর্জন না করে কোরআন স্পর্শ করবে না। দুই, আল কোরআন তেলাওয়াতের আগে মিছওয়াক করে নেবে। তিন, সুন্দর পোশাক পরিধান করবে।
চার, আল কোরআন তেলাওয়াতের সময় কেবলামুখী হয়ে বসবে। পাঁচ, হাই উঠলে কোরআন তিলাওয়াত বন্ধ করে দেবে। ছয়, কোরআন তেলাওয়াত অবস্থায় বিনা প্রয়োজনে কারো সঙ্গে কথা বলবে না। সাত, অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে কোরআন তেলাওয়াত করবে। আট, সওয়াবের আয়াত পাঠ করার সময় থামবে এবং উক্ত সওয়াব আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করবে। নয়, কোরআনকে খুলে রাখবে না অথবা আল- কোরআনের উপর কোনো কিছু চাপিয়ে রাখবে না। দশ, অন্যের ব্যাঘাত সৃষ্টি হয় এমন উচ্চ স্বরে কোরআন তেলাওয়াত করবে না। এগারো, বাজারে বা এমন জায়গায় কোরআন তেলাওয়াত করবে না, যেখানে মানুষ আজেবাজে কাজে লিপ্ত থাকে। রাছুলে পাক (সা.) এরশাদ করেন যে, মান নামা আন হিযবিহী আও আন শাইয়িন, মিনহু ফাক্বারাআহু ফিমা বাইনা সালাতিল ফাজরি ওয়া সালাতিজ জুহরি কুতিবা লাহু কাআন্নামা ক্বারাআহু মিনাল লাইলি। অর্থাৎ কোনো মানুষ যদি কোরআনের নির্দিষ্ট অংশ না পড়েই ঘুমিয়ে পড়ে তবে ফজর ও জোহরের নামাজের মধ্যবর্তী সময়ে যেন তা পড়ে নেয়। তাহলে তার আমলনামাতে উহা রাতে পড়ার মতো সওয়াব লিখে দেয়া হবে (মুসলিম)।