ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার জন্য পঞ্চান্ন, ষাট, সত্তরের প্রবীণ মানুষগুলো লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন ভোর পাঁচটা থেকে। শুক্রবার পাঁচ - ছ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পর তাদের জানানো হলো, ভ্যাকসিন বাড়ন্ত। কাউকে ভ্যাকসিন দেয়া যাবে না। একই চিত্র সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালের ভ্যাকসিন সেন্টারে। অসহায় মানুষ ছুটে বেড়িয়েছে এক সেন্টার থেকে অন্যত্র। কোথাও ভ্যাকসিন মেলেনি। অথচ প্রথম ডোজ নেয়ার পর ৪৩ দিন অনেকেরই কেটে গেছে। দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন সবাই।
কিন্তু এই প্রবীণ মানুষগুলো মাথা কুটে মরেছেন শুক্রবার। ভ্যাকসিন মেলেনি। ভ্যাকসিনের সরবরাহ নেই - এই তথ্য দিয়েই খালাস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কারও যেন কোনও দায় নেই। এর মধ্যে ভারতে তরুণ অর্থাৎ ১৮ বছরের বেশি বয়স্কদের ভ্যাকসিন পাওয়ার কথা শনিবার থেকে। বাগবাজারের সেন্ট্রাল ড্রাগ স্টোরে গিয়ে দেখা গেল ভাঁড়ার শূন্য। কর্মীরা উদ্বিগ্ন। কোভ্যাকসিন তাও নামমাত্র আছে। কোভিশিল্ড নেই। অথচ ভারতে করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন তিন লক্ষ ৮৬ হাজার ৪৫২ জন। একদিনে মারা গেছে তিন হাজার ৪৯৮ জন। পশ্চিমবঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১৫ হাজার ৮৪২ জন। ভারতে এ পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ কোটি ১১ লাখ ২১ হাজার। এই অবস্থায় ভ্যাকসিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।