× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাস চালুর দাবিতে বিক্ষোভের ডাক

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
১ মে ২০২১, শনিবার

দেশের চলমান পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন এবং পণ্যবাহী গাড়ি চালুর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা ওসমান আলী। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সরকার করোনা সংক্রমণ রোধে গণপরিবহন বন্ধ রাখে। এতে ৫০ লাখ পরিবহন শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়ে। উপার্জনের পথ বন্ধ থাকায় লাখ লাখ  পরিবহন শ্রমিক পরিবার ও পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। তাদের অর্ধাহারে-অনাহারে থাকার যন্ত্রণা পরিবহন শ্রমিকদের কাছে করোনা সংক্রমণের চেয়েও বড় হয়ে উঠেছে। উপায়হীন হয়ে অনেক পরিবহন শ্রমিকরা রাস্তায় নামার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রায় ৭৫ ভাগ যাত্রী ও ৬৫ ভাগ পণ্য সড়ক পথে পরিবহন হয়ে থাকে।
অথচ বর্তমান পরিস্থিতিতে গণপরিবহন ছাড়া দেশের সব মার্কেট, গার্মেন্ট, কলকারখানা, অফিস-আদালত খোলা রয়েছে। ফলে পরিবহন সংকটে মানুষ সিএনজি অটোরিকশা, মাইক্রোবাসে গাদাগাদি করে যাতায়াত করছে। সামাজিক দূরত্বের বালাই নেই। অথচ কথা ছিল লকডাউনের সময় মানুষ চলাচল, শ্রম ঘন শিল্প, হাটবাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কোট-কাচারী সব বন্ধ থাকবে। সেই হিসেবে গণপরিবহন বন্ধ থাকলে শ্রমিকদের কোনো আপত্তি ছিল না। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি শুধুমাত্র গণপরিবহন ছাড়া সবকিছু চলছে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে চলমান লকডাউনে গণপরিবহন চালু করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।  
তিনি বলেন, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ৫০ লাখ শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছে। তারা দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে। যার ফলশ্রুতিতে সড়ক পরিবহন শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে আসলে তার দায়দায়িত্ব বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন বহন করবে না। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে মোট আসনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন ও পণ্য পরিবহনের ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের আর্থিক অনুদান ও খাদ্য সহায়তা প্রদান করতে হবে। সারা দেশে বাস ও ট্রাক টার্মিনালগুলোতে পরিবহন শ্রমিকদের জন্য ১০ টাকায় ওএমএস এর চাল বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে। এসব দাবি বাস্তবায়নে আগামীকাল সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন। এছাড়া ৪ঠা মে সারা দেশের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের কথাও বলা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ছাদিকুর রহমান হীরু।
এদিকে, দেশের চলমান লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাস চালুর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। গতকাল দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সমিতির সভাপতি মসিউর রহমান রাঙ্গা ও মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে তারা বলেন, সামনে ঈদ। লাখ লাখ শ্রমিক কর্মহীন অবস্থায় পড়ে আছে। বহু গরিব মালিক ব্যাংক ঋণের কিস্তিসহ অসহায় অবস্থায় জীবনযাপন করছে। লকডাউনে বাস ছাড়া সবই চলছে। বাস চালু না থাকায় স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বিকল্পভাবে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, টেম্পু, থ্রি-হুইলার, মাইক্রোবাস, স্টাফবাস এমনকি এম্বুলেন্সেও গাদাগাদি করে যাত্রী বহন করা হচ্ছে। এতে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। বরং স্বাস্থ্যঝুঁঁকি আরো বাড়ছে। লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাসে সিটের অর্ধেক যাত্রী তথা ২ সিটে ১ জন যাত্রী নিয়ে বাস চালু থাকলে করোনা সংক্রমণ বাড়ার সম্ভাবনা থাকবে না। তারা বলেন, বাস চালুর ব্যাপারে সারা দেশের পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। বাস চালুর দাবিতে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় সড়ক-মহাসড়কে অবরোধ ও বিক্ষোভ চলছে। এসব দিক বিবেচনা করে কর্মহীন শ্রমিকদের মাঝে খাদ্য সহযোগিতা প্রদানসহ বাস চালু করার জন্য সারা দেশের মালিকদের পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর