× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চীনের কোস্ট গার্ড আইন ঘিরে সমালোচনা, উদ্বেগ

দেশ বিদেশ

মানবজমিন ডেস্ক
১ মে ২০২১, শনিবার

চীনের কোস্ট গার্ড আইন নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চরম সমালোচনা ও উদ্বেগ চলছে। সমালোচকরা বলছেন, দক্ষিণ চীন সাগরের একতরফা সার্বভৌমত্ব দাবি পূরণে নিজেদের কোস্ট গার্ড বাহিনীর সহিংস ব্যবহার বৈধ করতেই দেশটি এই আইন প্রণয়ন করেছে।

জানুয়ারির শেষের দিকে চীনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের ১৩তম অধিবেশনে স্ট্যান্ডিং কমিটির ২৫তম বৈঠকে কোস্ট গার্ড আইনি প্রণয়ন করা হয়। গত ০১ ফেব্রুয়ারি থেকে আইনটি আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয়। চীনের এ আইনটি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে।

চীনের কোস্ট গার্ড সদস্যদের আইনবলে বিদেশি জাহাজের ওপর গুলিবর্ষণের অধিকার দেয়ার বিরুদ্ধে কূটনৈতিক প্রতিবাদ জানিয়েছেন ফিলিপাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী টিয়োডরো লকসিন । তিনি এই প্রতিবাদলিপিতে লিখেছেন, চীনের এই নতুন আইন যেকোন দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধের মৌখিক হুমকি।

সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেত্নো মারসুদি এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রাবৌ সুবিয়ান্তুর জাপান সফরে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিদে সুগা জলসীমাকে ঘিরে চীনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন; যার মধ্যে কোস্টগার্ড আইন প্রণয়নের বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত ছিলো।
এসময় উভয়পক্ষই আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী অবাধ ও উন্মুক্ত নৌচালনা বজায় রাখার ওপর সবচেয়ে গুরুত্ব দেয়।

ফিলিপাইনের ইনস্টিটিউট ফর মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ল অব দ্য সী বিভাগের পরিচালক জয় বাতংবাকাল এ প্রসঙ্গে বলেন, এ আইনটি মূলত জলসীমার ওপর চীনের একতরফা দাবি পূরণে বৈধভাবে কোস্ট গার্ড সদস্যদের মাধ্যমে শক্তি প্রয়োগের সুযোগ করে দিলো। শুধু তাই নয় চীনের দাবিকৃত প্রবালপ্রাচীর ও দ্বীপসমূহে বিদেশি যেকোন কাঠামো ধ্বংসের অনুমোদন দিয়েছে এ আইনটি।
তিনি আরো বলেন, এর মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে পূর্ব এশিয়ার এই শক্তিশালী দেশটি অন্য কোন দেশের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত সত্ত্বেও ‘দক্ষিণ চীন সাগরে নিজেদের পূর্ণ আধিপত্য কায়েম করতে’ নিজেদের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।

চীনের কোস্ট গার্ড আইন প্রসঙ্গে ভিয়েতনামের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লি থি থু হ্যাং জানিয়েছেন, সব দেশকেই আন্তর্জাতিক আইন এবং স্বাক্ষরিত সব আন্তর্জাতিক চুক্তির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। বিশেষ করে সমুদ্র সংক্রান্ত কোন ইস্যু উত্থাপন ও প্রয়োগের ক্ষেত্রে ১৯৮২ সালে স্বাক্ষরিত ইউনাইটেড নেশনস কনভেনশনস অন দ্য ল অব দ্য সী (ইউএনসিএলওএস) মেনে চলতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট অন্যদেশগুলোর সার্বভৌমত্ব, সার্বভৌম অধিকার এবং পূর্ব সাগরের ওপর এখতিয়ার নিয়ে সম্মান জানাই। তবে কোনরকম উত্তেজনার পরিবেশ সৃষ্টি ছাড়াই ইউএসসিএলওএস আইন কার্যকর করার দায়িত্ব সবারই।’

সূত্র: ভিয়েতনামপ্লাস
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর