এটি কি ভ্রান্তিবিলাস নাকি জীবন-মৃত্যু নিয়ে নির্মম এক রসিকতার দলিল? পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরের পঁচেটগড়ের দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা মনোজ মাইতি কাজ করতেন হায়দরাবাদে। জ্বর নিয়ে ৫২ বছরের মনোজ বাবু বাড়ি ফেরেন। কোভিড পজিটিভ হওয়ায় তাঁকে চন্ডিপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল থেকে ২৯ এপ্রিল ফোন করে মনোজ বাবুর ছেলে বুলেট মাইতিকে জানানো হয় যে তাঁর বাবা মারা গেছেন। দিঘার কোভিড চুল্লিতে সৎকার হবে। তাঁরা উপস্থিত থাকতে পারেন। বুলেট কজন স্বজনকে নিয়ে দিঘায় যান। চুল্লিতে বাবার মরদেহ দাহ করে পটাশপুরে ফিরে আসেন।
তিনদিন পরে হাসপাতাল থেকে শনিবার দুপুরে ফোন আসে যে বাবা সুস্থ, বাড়ি নিয়ে যান। হতবাক বুলেট হাসপাতালে ছুটে যায় এবং দেখে যে বাবা বহাল তবিয়তে বসে আছেন। আনন্দের রোল পড়ে যায় মাইতি পরিবারে। বাবাকে নিয়ে বাড়ি ফেরে বুলেট। শুধু তাকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে একটি প্রশ্নই, বাবা বলে কার সেদিন দাহ করল সে? কোন সে হতভাগা? প্রশ্নের উত্তর পায়নি বুলেট। কারণ এতবড় অপরাধের পরও চণ্ডীতলা হাসপাতালের মুখে কুলুপ।