নন্দীগ্রামে ভোটগণনা নিয়ে চরম বিভ্রান্তি ও নাটকীয়তার পর জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীকে। এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই জিতেছেন নন্দীগ্রামে-এমনটাই প্রচার হচ্ছিল ভারতীয় গণমাধ্যমে। ১৭ রাউন্ড ভোটগণনার পর তৃণমূল নেত্রীই জয়ী হয়েছেন এমন খবর প্রকাশ করে সংবাদ মাধ্যম এএনআই। কিন্তু সন্ধ্যা পার হতেই বদলে যায় হিসাব। মমতার প্রতিদ্বন্দ্বী শুভেন্দু অধিকারী জয় পেয়েছেন বলে ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। পশ্চিমবঙ্গের গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, এসময় সার্ভারে সমস্যার কারণে সঠিক তথ্য পেতে ঝামেলা হচ্ছিল বলে জানানো হয়েছে। শুভেন্দু নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করে জানান, ১৬২২ ভোটে তিনি জিতেছেন। এই ঘোষণার পর নন্দীগ্রামে পরাজয় মেনে নিয়ে বক্তব্য দেন মমতা।
তবে তিনি আদালতে যাবেন- এমন ঘোষণাও দিয়েছেন।
এর আগে বিভ্রান্তির কারণে কিছুক্ষণ ভোটগণনা বন্ধ ছিল নন্দীগ্রামে। রাজ্যের প্রধান নির্বাচনী কর্মকর্তা আরিজ আফতাব জানিয়েছিলেন, রিটার্নিং অফিসার ভোট পুনরায় গণনা হবে কিনা সে সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে শেষ পর্যন্ত শুভেন্দুই জয়ী হয়েছে বলে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এর আগে হেরে যাওয়ার খবর পেয়ে সংবাদ সম্মেলনে মমতা বলেছিলেন, নন্দীগ্রাম যে রায় দেবে, মাথা পেতে নেব। নিজে হারলেও দলের জয়ের জন্য বাংলার মানুষকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, বাংলার জয়ের জন্য সকলকে অভিনন্দন। বাংলার জয়, মানুষের জয়। বাংলা আজ ভারতকে বাঁচিয়েছে। তবে তখনই আদালতে যাওয়ার ঘোষণাও দেন তিনি। মমতা বলেন, আমার কাছে অভিযোগ রয়েছে, রায় ঘোষণার পর কারচুপি হয়েছে। এদিকে, বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য বলেছেন, নির্বাচনে হেরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার কোনো অধিকার নেই। পশ্চিমবঙ্গের গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সার্ভারের ত্রুটির জেরে দুপুরে এমনিতেই চল্লিশ মিনিট ভোটগণনা বন্ধ ছিল সেখানে। এরপরই শুভেন্দু জয়ী হয়েছেন বলে জানানো হয়।
শেষমেশ সন্ধ্যা ৭টার পরে রিটার্নিং অফিসার জানান, নন্দীগ্রামে ১ লাখ ৯ হাজার ৬৭৩ ভোট পেয়েছেন শুভেন্দু। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পেয়েছেন ১ লাখ ৭ হাজার ৯৩৭ ভোট। সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায় ৬ হাজার ১৯৮ ভোট পেয়েছেন।