তারা টলিউড তারকা। এমনিতেই মানুষের কাছে জনপ্রিয়। এই জনপ্রিয়তা একটি বাড়তি প্রাপ্তি ছিল তাদের। কিন্তু তা ব্যবহার করে নির্বাচিত হতে পারলেন না টলিউডের দুর্দান্ত তারকা শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, রুদ্রনীল ঘোষ, পায়েল সরকাররা। তারা সরাসরি অভিনয় থেকে হয়েছিলেন তারকাপ্রার্থী। যেসব আসনে তারা প্রার্থী হয়েছিলেন, এ নিয়ে সেই আসনে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ছিল সমালোচনা। কিন্তু সেই সমালোচনার জবাব দিতে পারলেন না তারা। ভারতীয় মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, এবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে তারকা প্রার্থীদের হারের তালিকা কম দীর্ঘ নয়। পায়েল সরকার, রুদ্রনীল ঘোষ, অঞ্জনা বসু, সায়নী ঘোষ, পার্নো মিত্র, দেবদূত ঘোষ, তনুশ্রী চক্রবর্তী,  শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, পাপিয়া অধিকারী বা যশ দাশগুপ্তÑ  তালিকায় রয়েছে সব শিবিরের তারকা প্রার্থীরই নাম। আনন্দবাজার পত্রিকা লিখেছে, অথচ রূপোলি পর্দা ছেড়ে রাজনীতির জগতে পা রাখতেই তারা পেয়ে গিয়েছিলেন নীলবাড়ির লড়াইয়ের টিকিট। তা নিয়ে জেলা বা স্থানীয় স্তরে কর্মী-সমর্থকদের ক্ষোভের মুখেও পড়েছেন সংশ্লিষ্ট দলীয় নেতৃত্ব। তবে সে বাধা সত্ত্বেও প্রচারের কাজে কোমর বেঁধে নেমে পড়া তারকা প্রার্থীদের মাঠে-ময়দানে দেখা গিয়েছে। যেখানে গিয়েছেন, তারকা ইমেজের টানে ভিড়ও টেনেছেন তারা। তবে সে ভিড়ের হাত পৌঁছায়নি ভোটবাক্স পর্যন্ত। ফলে রাজ্যে ফের শাসকদলের সবুজ ঝড় উঠলেও তৃণমূলের পতাকার তলায় জয়ীর তালিকায় দেখা যায়নি কৌশানী মুখোপাধ্যায়কে। কৃষ্ণনগর (উত্তর) বিধানসভা আসনে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের কাছে হেরে গিয়েছেন তিনি। কৌশানী একা নন, তারকা প্রার্থীদের হারের তালিকায় রয়েছেন গেরুয়া শিবির বলে পরিচিত বিজেপির হয়ে দাড়ানো রুদ্রনীল, পায়েল, অঞ্জনা, পার্নো মিত্র, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, পাপিয়া এবং যশ। হারের তালিকায় রয়েছেন দেবদূত এবং সায়নীর মতো সংযুক্ত মোর্চার তারকা প্রার্থীরাও। ভোটপ্রচারে তাঁদের যাবতীয় চেষ্টাই জলে গিয়েছে।