কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সেনাসদস্যদেরকেও ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হয় এবং বিভিন্ন দেশে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ভ্যাকসিন প্রদানের বিষয়ে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, সম্প্রতি সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত সেনাসদস্যদের ভ্যাকসিন প্রদানের গুরুত্ব এবং জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে মিশন এলাকায় বাংলাদেশ শান্তিরক্ষীদের ভ্যাকসিন প্রদানের জন্য অনুরোধ করেন। একই সঙ্গে দেশ থেকে নতুন শান্তিরক্ষী মোতায়েনের পূর্বে সেনা সদস্যদের ভ্যাকসিন প্রদান করে মোতায়েন করা হবে বলে আশ্বাস দেন। শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশই সর্ব প্রথম মার্চ থেকে ডিআর কঙ্গোতে নিয়োজিত কন্টিনজেন্টসমূহের প্রতিস্থাপনকালে সেনাসদস্যদের ভ্যাকসিন প্রদান করে মিশন এলাকায় মোতায়েন করে আসছে। অতি সম্প্রতি মিশন এলাকাতেও জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের বাংলাদেশে ব্যবহৃত অনুরূপ ভ্যাকসিন প্রদান শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য যে, বর্তমানে জাতিসংঘের অধীনে ৮টি মিশনে ৫৩০৮ জন সেনাসদস্যসহ সর্বমোট ৬৮৮৫ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী মোতায়েন রয়েছে।।