তিনি হয়ে উঠতে পারেন কিং মেকার। তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিলো অনেক দল। কিন্তু সংযুক্ত মোর্চার শরিক ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের প্রধান নেতা আব্বাস সিদ্দিকীকে প্রত্যাখ্যান করেছে মানুষ। ভাঙ্গর থেকে একটি আসন পেয়েছে
আইএসএফ। জিতেছেন আব্বাস সিদ্দিকীর ভাই নৌশাদ সিদ্দিকী। বিপর্যয়ের পর আব্বাস সিদ্দিকী মুখ খুললেন মানবজমিন-এর কাছে। নির্বাচনী জনসভায় তার কণ্ঠে যে অগ্নিস্ফুলিঙ্গ ছিল তার থেকে অনেক ধীর স্থির, মার্জিত ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসকে অভিনন্দন জানিয়ে বললেন, চারদিকে এত হিংসার মধ্যে আমার একটাই আবেদন, গণতন্ত্রের উৎসবকে আতঙ্কের উৎসব বানাবেন না। দেগঙ্গার কদম্বগাছিতে হাসানুজ্জামান নামে এক আইএসএফ কর্মীকে কুপিয়ে খুন করা বা ভাঙ্গরে হাসিবুল মিয়াঁ নামক এক আইএসএফ কর্মীকে মেরে মৃত্যুমুখে ফেলে দেয়ার ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়ে আব্বাস বললেন, যারা জিতেছেন তাদের কাছে নিবেদন জয়ের আনন্দে উন্মত্ত হবেন না, যারা হেরেছেন তাদের কাছে আবেদন, হতাশায় ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ ঘটাবেন না।
মনে রাখবেন আমরা সবাই দেশবাসী। দেশকে প্রাধান্য দিন। আব্বাস বললেন, তিনি আতঙ্কিত। কারণ এই নিদারুন করোনার সময় যদি মানুষ আবার আন্দোলনে বা মিছিলে নামে তাহলে করোনা আরো ছড়িয়ে পড়বে। বহু মানুষের মৃত্যু হবে। তাই তিনি সংযত হওয়ার আবেদন জানাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা জানিয়ে আব্বাস বলেন, জনগন আপনাদের ভালোবেসেছে। আপনারা এগিয়ে আসুন গণতন্ত্রের উৎসবকে সফল করতে।