সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আব্দুলআজিজের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েফ এরদোগান। এতে দুই দেশের মধ্যেকার স¤পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়। এটি ছিল গত এক মাসের মধ্যে দুই নেতার মধ্যে দ্বিতীয় ফোনালাপ। এ নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে তুরস্ক। এতে বলা হয়েছে, দুই নেতা নিজেদের মধ্যে থাকা বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছেন। একইসঙ্গে দুই দেশের মধ্যেকার স¤পর্ক কীভাবে এগিয়ে নেয়া যায়, তা নিয়েও আলোচনা হয়।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তুরস্ক ও সৌদি আরবের মধ্যে স¤পর্ক একেবারে তলায় গিয়ে ঠেকেছে। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেন ক্ষমতায় বসার পরে দুই দেশের মধ্যে আবারো স¤েপার্কন্নয়নের চেষ্টা দেখা যাচ্ছে। সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যা নিয়ে সাবেক ট্রা¤প প্রশাসনের সময় ছাড় পেয়ে আসছিল সৌদি আরব।
তবে বাইডেন এসেই দেশটির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে এ হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে অভিযুক্ত করে। অপরদিকে তুরস্কের একনায়কতান্ত্রিক শ্বাসন এবং মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়েও চাপ প্রয়োগের কথা বলে আসছেন বাইডেন। ধারণা করা হচ্ছে, এমন পরিস্থিতিতেই নিজেদের মধ্যে স¤পর্ক জোরদারে আগ্রহী হয়ে উঠেছে তুরস্ক ও সৌদি আরব।
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে থাকা সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা গিয়েছিল। সৌদিকে কাবু করতে এই ইস্যু চেপে ধরে তুরস্ক। নিজের দেশে আলাদা বিচারের সিদ্ধান্তও নেন এরদোগান। অপরদিকে সৌদি আরবকে দেখা গেছে একের পর তুর্কি পণ্য বয়কট করতে। গত বছর সৌদি ব্যবসায়ীদের এমন সিদ্ধান্তে তুরস্ক থেকে আসা পণ্যের পরিমাণ ৯৮ শতাংশ কমে গিয়েছিল। তবে এখন এরদোগানের মুখপাত্র ইব্রাহীম কালীন জানিয়েছেন, দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক আয়োজিত হতে চলেছে।
এর আগে মিশরের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন এরদোগান। মার্কিন-আরব যে মিত্রজোট মধ্যপ্রাচ্যে রয়েছে সেই দেশগুলোর সঙ্গে স¤পর্কোন্নয়নে এরদোগান যে সচেষ্ট হয়ে উঠেছেন তা ¯পষ্ট হয়ে উঠছে। গত মার্চ থেকেই মিশরের সঙ্গে স¤েপার্ক এগিয়ে নেয়ার কথা বলে আসছে তুরস্ক।