করোনায় হচ্ছে না কোনো সিনেমার শুটিং। তাই বেশির ভাগ নায়ক-নায়িকাই আছেন বাসায়। এই কাতারে রয়েছেন ঢালিউডের চিত্রনায়িকা আঁচলও। তিনি পার করছেন ঘরবন্দি সময়। করোনাভাইরাসে যেভাবে মানুষজন মারা যাচ্ছেন এতে করে শঙ্কায় দিন পার করছেন তিনি। এই সময়ে সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার জন্য বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছেন। আঁচল বলেন, আমি জানি এই মুহূর্তে অনেককে না চাইলেও ঘর থেকে বের হতে হচ্ছে। জীবন ধারণের জন্যই বাধ্য হয়ে তারা এমনটা করছেন।
তারপরও বলবো যেখানে যে অবস্থায় আছেন সতর্ক থাকুন। মাস্ক পরুন, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। জীবনের মূল্য সব থেকে বেশি। আমরা সাবধান থাকলে, পাশের মানুষটাও বেঁচে গেল। এই কথাটা ভাববেন দয়া করে। নিজের জন্য, পরিবারের জন্য, দেশের জন্য আরেকটু ধৈর্য ধরি। সরকারের দেয়া বিধিনিষেধ মেনে চলি। এদিকে, টানা বেশকিছু সিনেমার শুটিং করছিলেন আঁচল। ব্যস্ত সময় পার করা এই নায়িকা মনে করছেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাবে আবারো বিপদে পড়লেন। কারণ আটকে গেছে তার দুইটি সিনেমা। ছবি দুটির নাম ‘চাঁদনি’ আর ‘এক পশলা বৃষ্টি’। আঁচল বলেন, আবার আটকে গেলাম। মাঝখানে যখন সবাই কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম তখনই করোনাটা বেড়ে গেল।
সিনেমার কাজ হুট করে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঝামেলা হয়ে গেল। বর্তমানে বাসাতেই রয়েছেন আঁচল। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়ে এই ধাক্কা সামলে ওঠার চেষ্টা করছেন। করোনার এই প্রকোপ একদিন ঠিক হয়ে যাবে বলেও আশাবাদ রাখেন আঁচল। তিনি বলেন, আমি হতাশ হচ্ছি না। শুধু যে আমার একার সমস্যা তা না, করোনা বৈশ্বিক সমস্যা। তাই অতোটা চিন্তা করছি না। গত মাসে সবশেষ শুটিং করেন আঁচল। এরআগে ‘আয়না’, ‘চিৎকার’, ‘কাজের ছেলে’, ‘কর্পোরেট’, ‘রাগী’, ‘যমজ ভূতের গল্প’ সহ আরো কয়েকটি সিনেমার কাজ শেষ করেছেন এই গ্ল্যামারকন্যা। এই নায়িকা জানান, এই সিনেমাগুলো মুক্তি পেলে দর্শকরা পছন্দ করবেন। কারণ প্রতিটি কাজই খুব সময় ও সুন্দরভাবে করার চেষ্টা করেছি।