আজ তেইশ রমজান। পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা তিনি, যিনি স্বীয় বান্দাহ্কে রাতের বেলাতে ঊর্ধ্বাকাশ ভ্রমণ করিয়েছিলেন, মাসজিদুল হারাম থেকে মাসজিদুল আকসা পর্যন্ত। যাহার চতুর্দিকে আমি পর্যাপ্ত বরকত দান করেছি। যাতে আমি তাঁকে কুদরতের কিছু নিদর্শন দেখিয়ে দেই। নিশ্চয়ই তিনি পরম শ্রবণকারী ও দর্শনশীল (সূরায়ে বনী ইসরাঈল ১)। রাসূলে পাক সা: মাসজিদুল আকসা থেকে পবিত্র মি’রাজ অর্থাৎ ঊর্র্ধ্বাকাশ ভ্রমণ করেন। ঐদিনই আক্বায়ে সরদারে দো জাহাঁ রাহমাতুল লিল্ আলামীন হযরত মুহাম্মাদুর রাসূলাল্লাহ সা: সকল ফিরিশতা এবং সকল আম্বিয়াদের এশার নামাজের ইমামতি করেন খাতিমুল আম্বিয়া সাইয়্যিদুনা হযরত মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা:)। অতঃপর তিনি মাসজিদুল আকছা থেকে রফরফ নামক সওয়ারী দিয়ে তিনি সিদরাতুল মুনতাহাতে যান।
সেখানে আল্লাহ্র নির্দেশে স্বর্ণের প্রজাপতি এবং বিভিন্ন রঙের প্রজাপতি ছোটাছুটি করেছিল। ফিরিশতা সমূহ স্থানটিকে ঘিরে রেখেছিলেন। আল্লাহ্র রাসূল (সা:)কে ভ্রমণকারী পাল্কি রফরফ সবুজ রঙের গদি বিশিষ্ট ছিল। মূলত: মুসলিম উম্মাহের সর্বপ্রথম কিবলা ছিল মাসজিদুল আকসা বা বাইতুল মাক্বদিছ। এখানেই রাসূলে পাক (সা:) এর মি’রাজ বা ঊর্ধ্বাকাশ ভ্রমণের সকল স্মৃতিচিহ্ন বিজড়িত রয়েছে। আল কুদ্স অর্থ পবিত্র। সিরিয়া থেকে হিজরত পবিত্র মক্কা নগরীতে মাসজিদুল হারাম নির্মাণ সাইয়্যিদুনা হযরত ইব্রাহিম (আ:) আর ফিলিস্তিন নগরীতে আল কুদ্স, বাইতুল মাক্বদিছ, আল আকসা নির্মাণ করেন সাইয়্যিদুনা হযরত দাউদ (আ:)।