মঙ্গলবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০০৭ দিন ১৫৯আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সাথে তাল মিলিয়ে সরকারি এজেন্সিগুলোর চক্রান্ত ও নির্দেশনা অনুসারে দৈনিক ইত্তেফাকসহ দেশের প্রায় সবক’টি কাগজে চার কলামব্যাপী সংবাদে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে যে, আমি প্রচুর টাকার বিনিময়ে পাবলিক প্রসিকিউটর, ম্যারেজ রেজিস্ট্রার এমনকি বিচারক নিয়োগ দিয়েছি। শেখ হাসিনা, খালেদা জিয়াসহ অন্যান্য রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধেও জেনারেল মইনের লোকজন একই কায়দায় একই অস্ত্র প্রয়োগ করে নিজেদের নিয়ন্ত্রিত প্রচার মাধ্যমে তা অব্যাহতভাবে প্রচার করে রাজনীতিবিদদের মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত করার চেষ্টা করছে। এ হলো আসলে রাজনীতিবিদদের প্রতি তাদের চরমতম ভীতিবোধেরই প্রতিফলন। কারাগার থেকে আমার সম্ভাব্য মুক্তি নিঃসন্দেহে তাদের ভীতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংবাদটি নিঃসন্দেহে আমাকে মর্মাহত করেছে। কিন্তু এগুলো পুরোপুরি বানোয়াট, আমি তার পরোয়োও করি না। আমি জানি, প্রকৃত সত্যই শেষ পর্যন্ত টিকে থাকবে।
আমি আমার রিট আবেদনের খসড়া তৈরি করতে শুরু করেছি।
বুধবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৭ দিন ১৬০দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ২৬(২) ও ২৭(১) ধারাবলে আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের এফআইআর বা প্রাথমিক তথ্য সংক্রান্ত প্রতিবেদনের অনুলিপি আমার হাতে এসে পৌঁছেছে। তবে সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো- গতকাল সংবাদপত্রে প্রকাশিত অভিযোগগুলোর কোনোটাই সেই প্রাথমিক তথ্য প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি।
পত্রিকার রিপোর্টগুলো যে কতটা মিথ্যা ও সাজানো ছিল এ থেকেই তা প্রমাণিত হলো। তাছাড়া এফআইআর-এ যে অভিযোগগুলো আনা হয়েছে সেগুলোও সব মিথ্যা।
মাঝে-মধ্যে পত্রিকায় খবর বের হচ্ছে যে, লক্ষ লক্ষ মানুষ এখনো সর্বনাশা বন্যার কবলে দিন কাটাচ্ছে।
প্রবাদ আছে যে, আশ্বিন মাসে, সাধারণত ইংরেজি বছরের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের জনগণের জন্য সবচেয়ে কষ্টকর সময় কাটে- কারণ এ সময় ফসলের ক্ষেত থাকে ফসলহীন, গাছ থাকে ফলশূন্য। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এটি চরম সত্য বলে প্রমাণিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০০৭ দিন ১৬১এটা একটা ভালো লক্ষণ যে, এই মামলায় আমাকে একাই অভিযুক্ত করা হয়েছে এবং অন্যান্যের মামলার মতো স্ত্রী বা সন্তানদের এর সাথে জড়ানো হয়নি। এ ব্যাপারে আমি বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন ছিলাম। এখন পরিবার নিয়ে উদ্বিগ্ন না হয়েই মামলায় লড়াই করা আমার পক্ষে সহজ হবে। আমি ব্যারিস্টার খোকন ও ব্যারিস্টার রফিক ভাইয়ের কাছে দু’টি রিট আবেদনের খসড়া পাঠিয়েছি। এর মধ্যে একটি আমার ঘোষণা দেওয়া কর গ্রহণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অস্বীকৃতি জানানোর বিরুদ্ধে এবং অন্যটি আমার আয় ও সম্পদ সংক্রান্ত। আমার সম্পূর্ণ আইনগত অধিকার থাকা সত্ত্বেও খসড়াগুলো আমার পাঠাতে হয়েছে জেল কর্তৃপক্ষের অগোচরে। কিন্তু আমি জানি যে, আমি যদি আমার আইনগত অধিকার প্রয়োগ করে জেল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সেগুলো পাঠাতে চাই, তাহলে কোনো না কোনো অজুহাতে তারা সেগুলো জেলখানা থেকে বাইরে যেতে দেবে না।
শুক্রবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০০৭ দিন ১৬২জেলখানা হলো ভিন্ন ধরনের এক জগৎ। এ যেন নিজেই পৃথক এক পৃথিবী। বাংলাদেশের বৃহত্তম জেলখানা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সেরকমেরই একটি ভিন্ন জগৎ। এ জেলখানার ধারণক্ষমতা ২৬০০ জনের অথচ ঠিক এ মুহূর্তে কারাগারে কয়েদি রয়েছে ১০ হাজারেরও বেশি। অর্থাৎ ধারণ ক্ষমতার তিন গুণেরও বেশি। ধরতে গেলে প্রায় চার গুণ। পরিস্থিতির বাস্তবতা বোঝাতে গিয়ে এই একটি তথ্যই যথেষ্ট। সমস্ত কয়েদির মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির সংখ্যা হবে কেবল এক-তৃতীয়াংশ এবং বাকি সবাই হলো বিচারাধীন কয়েদি যাদের বলা হয় হাজতি। সাজাপ্রাপ্ত আর বিচারাধীন যাই হোক না কেন অত্যন্ত গরিব বিধায় জেলখানাতেই ওদের জীবন কাটছে। হয়তো সাজা পাওয়ার আগে পয়সার অভাবে তারা ভালো কোনো আইনজীবীর দ্বারস্থ হতে পারেনি, কিংবা জামিন পাওয়া বা খালাসের জন্য আপিল বা শুনানি করার মতো সামর্থ্যবান কোনো আত্মীয়স্বজন কিংবা উকিল তারা যোগাড় করে উঠতে পারেনি। বিচারাধীন কয়েদিদের ব্যাপারেও একই কথা প্রযোজ্য। জামিন না পাওয়ার মূল কারণ হলো- ওদের দারিদ্র্যতা। ওদের প্রায় অর্ধেক, এক থেকে পাঁচ বছর যাবৎ এ কারণে কয়েদ খাটছে যে, তাদের মামলা এখনো শুরুই হয়নি। অনেকের কাছে তাদের কয়েদবাসের মূল কারণও রয়ে গেছে অজ্ঞাত। অনেকে বিনা বিচারে জেল খাটছে ১০ বছর বা তারচেয়েও বেশি সময় ধরে।
ওদের সাথে যতই আমার আলাপ হয়, ওদের কারাবাসের কারণ এবং প্রেক্ষাপট সম্পর্কে ততই আমার একটা কষ্টদায়ক ধারণা জন্মে। পেশাগত ও অভ্যাসতাড়িত দুর্বৃত্ত, গুণ্ডা-বদমাস ও সন্ত্রাসীদের বাদ দিলে দেখা যায় বেশির ভাগ কয়েদিই হলো ঘটনাচক্রের শিকার। জেলখানায় গেলে যে কেউ নিম্ন আদালতে সুবিচারের পথে প্রতিবন্ধকতার অজস্র ঘটনা সম্পর্কে শুনতে পাবেন। কিশোরগঞ্জের চার বছর ধরে বিচারাধীন কয়েদি আবু সালেহ কথা প্রসঙ্গে আমাকে বলে, “আমার যদি টাকা থাকতো তাহলে খুনি হলেও আজ আমাকে কয়েদখানায় আসতে হতো না। জেল কর্তৃপক্ষ তো বটেই, গোটা বিচারসংক্রান্ত প্রক্রিয়াই এখন দুর্নীতিগ্রস্ত। সুবিচার খুব একটা আমাদের নজরে আসে না- যা দেখি তার বেশির ভাগই অবিচার।” জেল সংস্কার কমিটির চেয়ারম্যান থাকাকালে এই পরিস্থিতির নিরসনে কিছুই করতে পারিনি ভেবে আজ আমি অনুতাপে দগ্ধ হই। আমার নিজের মধ্যেই জাগে অপরাধবোধ। তবে এ ধরনের সমস্যা নিরসনের জন্য আইনগত সহায়তার ক্ষেত্রগুলো সে সময় জোরদার করা হয়েছিল বলে আমি দাবি করতে পারি।
আমার ৭২ বছর বয়স্ক বোন নাফিসা সুদূর উত্তরা থেকে আমার রোজা ভাঙার জন্য ইফতারের কিছু খাবার নিয়ে এসেছিল। কিন্তু তাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি না থাকায় আমাকে না দেখেই খাবারগুলো জেলগেটে রেখে ওকে চলে যেতে হয়েছে। পরে সেগুলো পাঠানো হয়েছে আমার সেলে। অন্য সবার সাথে ভাগাভাগি করে আমরা সেগুলো খেয়েছি ।
শনিবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৭ দিন ১৬৩২০০১ সালের সেপ্টেম্বর ১১ তারিখে আমেরিকার অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র টুইন টাওয়ারে আল-কায়েদার হামলার ধ্বংসযজ্ঞের মধ্য দিয়ে গোটা বিশ্ব রাজনীতির প্রেক্ষিত সম্পূর্ণভাবে বদলে গেছে। ইরাক অভিযান, আফগানিস্তান দখল এবং পাকিস্তানে রাজনৈতিক পরিবর্তন তারই ইঙ্গিত দেয়। পৃথিবীর এক কর্তৃত্বশালী পরাশক্তি আমেরিকাতে ইসলামী সন্ত্রাসবাদ এখন এক নম্বর শত্রু হিসেবে চিহ্নিত এবং আগামী বহু বছর এ ধারণা অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশের মতো যেসব দেশ সবসময় আমেরিকার সাথে সম্পর্ক বজায় রেখে চলতে আগ্রহী তাদেরকে এই বিষয়টি বিশেষভাবে অনুধাবন করতে হবে। ভবিষ্যতে বিএনপিকেও তার রাজনীতির জন্য বিষয়টি গভীরভাবে চিন্তা করতে হবে।
আমার লেখার কাজ দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে। হাতের লেখায় প্রায় ৪০০ পৃষ্ঠা শেষ হয়ে গেছে। ডান হাতের কাঁধের কব্জিতে মাঝে-মধ্যে আমার প্রবল যন্ত্রণা হয়। ১৯৫৬ সালে ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশের নির্মম প্রহার থেকে এই যন্ত্রণা শুরু। এ যন্ত্রণা নিয়েই লেখা চালিয়ে যেতে হবে আমাকে।
রবিবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০০৭ দিন ১৬৪আমার বাবা ছিলেন আরবি, ফারসি ও উর্দু চিরায়ত সাহিত্যের একজন সুপণ্ডিত। তার জ্ঞান ও প্রজ্ঞা ছিল এতো উঁচু মাপের যে, আমার পক্ষে তার জ্ঞান ও অবদানের সঠিক মূল্যায়ন করা সম্ভব নয়। তার বেশির ভাগ বই ছিল ওপরের এই তিনটি ভাষায়, কাজেই তার সন্তান হিসেবে পড়া বা বোঝার ক্ষমতা আমাদের ছিল না। শেষ পর্যন্ত ১৯৬০ সালে এসে তিনি দু’টি বই রচনা করেন বাংলা ভাষায়।
এদের মধ্যে মহান নবীজী (সাঃ) সম্পর্কিত বই নবী পরিচয় বের হয় ১৯৬২ সালে এবং পবিত্র কোরআন সম্পর্কিত কোরআন পরিচয় বইটি বের হয় ১৯৬৭ সালে। বইগুলোতে তিনি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) চমকপ্রদ জীবনধারা এবং পবিত্র কোরআন নাজিলের মোহময়ী বর্ণনা দিয়েছেন। বই দু’টি যারাই পাঠ করবেন, এদের তথ্য ও জ্ঞান, সেই পাঠকের মধ্যে নিঃসন্দেহে এনে দেবে এক সুগভীর তৃপ্তি ও প্রশান্তি।
সোমবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০০৭ দিন ১৬৫যখনই বাবার কাছে আমি গেছি, আমি তাকে দেখেছি বই নিয়ে সুগভীর পাঠে নিমগ্ন অবস্থায়। গালগল্প কিংবা হালকা আলাপচারিতায় সময় নষ্ট করা ছিল তার স্বভাববিরুদ্ধ। তবে জ্ঞানময় আলোচনা তিনি পছন্দ করতেন, তাদের কথা তিনি শুনতেন। তিনি ছিলেন অত্যন্ত শান্ত ধরনের। ধীরচিত্ত এবং অতি সংযমী।
বাংলা ভাষায় তার লেখা কোরআন ও নবীজী (সাঃ) সংক্রান্ত বই দু’টি প্রকাশের সাথে সাথে বিক্রি হয়ে যায়। এরপর বাজারে প্রায় ৪০ বছর আর সেগুলে খুঁজে পাওয়া যায়নি। বছরের পর বছর ধরে খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে আমি বই দু’টির একটি করে কপি সংগ্রহ করতে সক্ষম হই এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর মহিউদ্দীন আহমেদের সহায়তায় ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড থেকে সেগুলো প্রকাশ করা হয়। বইগুলো যতই আমি পড়ি, আল্লাহ্ তা’আলার শ্রেষ্ঠত্ব, পবিত্র কোরআন শরীফের মূলবাণী এবং মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ পুরুষ প্রিয় নবী মুহম্মদ (সাঃ)-এর চৌম্বক ব্যক্তিত্বের মোহময় রূপ ততই আমি প্রত্যক্ষ করতে পারি।
মঙ্গলবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০০৭ দিন ১৬৬আরাফাতের ময়দানে মহানবী রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) মানবজাতির উদ্দেশ্যে তার শেষবাণী প্রচার করেন। গোটা মানবজাতির জন্য এ ছিল এক অভূতপূর্ব দিক-নির্দেশনা। যার অংশবিশেষ নবী পরিচয় বইটিতে প্রাঞ্জল ভাষায় বর্ণনা করা হয়েছে। সে যুগে যখন নারীরা ছিল পুরুষের পদানত, কন্যাসন্তান হলে দেওয়া হতো জীবিত কবর, সমাজে যখন নারীদের বিন্দুমাত্র স্থান ও স্বীকৃতি ছিল না এবং দাস-দাসীকে গণ্য করা হতো না মানুষ হিসেবে, সেই অন্ধযুগে প্রিয়নবী রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) নারীদের যে মর্যাদা ও সম্মানের স্থানে অধিষ্ঠিত করেছেন তা এক আশ্চর্য্যকর ব্যতিক্রম। এই ঘোষণার পরে সমাজে দাস-দাসী ও নারীদের আসন ও মর্যাদা অন্যান্য সবার সমমর্যাদায় আসীন হয়। বিদায় হজের ভাষণে মহানবী (সাঃ) বলেন, “নারীদের ব্যাপারে আল্লাহ্কে ভয় করো। তাদের ওপর তোমাদের যেসব অধিকার রয়েছে, তোমাদের ওপরও তাদের সেই একই অধিকার রয়েছে এবং ওদের সাথে সবসময় সুব্যবহার করো।” দাস-দাসীর বিষয়ে নবী করিম (সাঃ) বলেছেন, “নারী বা পুরুষ সকল দাস-দাসীকে তাদের প্রাপ্য মর্যাদা দিও। তুমি নিজে যা খাও ও পরিধান করো, তাদেরও সেই একই খাবার ও পরার সামগ্রী দিও। তারাও আল্লাহ্র সৃষ্টি এবং তাদের ওপর নির্যাতন চালানো যাবে না।”
মহানবী (সাঃ) ছিলেন বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ বিপ্লবী ও মানবতাবাদী নেতা। নিজের সুব্যবহার, একাগ্রতা ও মানবিক আবেদন দিয়ে তিনি জনগণের অন্তর জয় করেছেন। গায়ের জোরে কিংবা তলোয়ার দিয়ে নয়। নবীজী (সাঃ) সম্পর্কে যতই পড়ি, ভাবাবেগে ততই আপ্লুত হই।
(চলবে..)
আরো পড়ুন-
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১)মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৩) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৪) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৫) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৬) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৭)মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৮) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৯) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১০) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১১) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১২) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৩) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৪) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৫) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৬) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৭) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৮) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৯)মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২০) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২১) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২২)মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২৩)মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২৪)মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২৫) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২৬) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২৭) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২৮) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২৯) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৩০) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৩১)মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৩২) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৩৩) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৩৪) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৩৫) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৩৬) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৩৭)মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৩৮)মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৩৯) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৪০) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৪১) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৪২)