করোনার প্রকোপে স্থগিতাদেশ পাওয়ার আগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছিল আইপিএল। দলগুলোর বাইরে কাউকে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে দেয়া হতো না। তবে কড়া নিরাপত্তা আটকাতে পারেনি জুয়াড়িদের। অভিযোগ উঠেছে, পরিচ্ছন্নতাকর্মীর ছদ্মবেশে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেছিল এক জুয়াড়ি। এছাড়া রাজস্থান রয়্যালস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ম্যাচ চলাকালে ভুয়া অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড (স্বীকৃতিপত্র) নিয়ে মাঠে ঢোকার কারণে আরো দু’জনকে আটক করেছে দিল্লি পুলিশ।
দুটি ঘটনাই ঘটেছে দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে। প্রথম ব্যক্তি মাঠের পাশ থেকে ভেতরের তথ্য কোনো বড় জুয়াড়ির কাছে পাচার করছিলেন বলে সন্দেজ করছে বিসিসিআইয়ের দুর্নীতিবিরোধী ইউনিট। জনপ্রিয় ক্রিকেট সংবাদমাধ্যম ক্রিকবাজ পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে জানায়, স্টেডিয়ামের একটা নিরিবিলি জায়গায় আলাদা থেকে কারও সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন তিনি। তবে সেটি কোন ম্যাচের ঘটনা সেটি খুলে বলেননি এ ইউনিটের প্রধান শাব্বির হোসাইন।
সেই সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করতে পারেনি বিসিসিআইয়ের দুর্নীতিবিরোধী ইউনিট।
তবে তার দুটি মোবাইল আটক করা হয়েছে।
শাব্বির হোসাইন বলেন, ‘আমি আশাবাদী, দুয়েকদিনের মধ্যে পুলিশ তাকে আটক করবে। মনে হচ্ছে সে ছোটখাটো কোনো জুয়াড়ি। এমন কারও কাছে সে তথ্য পাচার করের যে বড় জুয়াড়ি।’
অন্য ম্যাচটি ছিল ২লা মে। তথ্য পেয়ে পুলিশ গ্রেপ্তার করে ভুয়া অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড নিয়ে ঢোকা সেই দুই ব্যক্তিকে। তারা হলেন কৃষ্ণান গার্গ ও মানীশ কানসাল।