সেই ২০১২ সালে শেষবার চ্যাম্পিয়নস লীগ জিতেছিল চেলসি। আশ্চর্যজনকভাবে সেবারও মৌসুমের মাঝপথে দায়িত্ব নিয়ে চেলসিকে ফাইনালে তুলেছিলেন কোচ রবার্তো ডি মাত্তেও। গত ৯ বছরে আর ফাইনালে খেলা হয়নি চেলসির। ব্লুরা যে এবার ফাইনালে খেলবে সেই ভাবনাও ছিল অবান্তর। ধারাবাহিক ব্যর্থতার জন্য ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ডকে সরিয়ে মৌসুমের মাঝপথে টমাস টুখেলকে দায়িত্ব দেয় চেলসি। জার্মান কোচ টুখেল ব্লুদের ডাগআউটে মাত্র ১০০ দিন কাটিয়েছেন। তাতেই তুলেছেন চ্যাম্পিয়নস লীগের ফাইনালে। এফএ কাপের শিরোপার মঞ্চেও চেলসিকে উঠিয়েছেন।
পরের মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লীগে খেলাও অনেকটা নিশ্চিত। চেলসিতে স্বপ্নময় পথচলায় এই জার্মান কোচ গড়েছেন দারুণ রেকর্ড। গত মৌসুমে পিএসজিকে চ্যাম্পিয়নস লীগের ফাইনালে তুলেছিলেন কোচ টুখেল। এবার চেলসিকে। ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতায় এমন কৃতিত্ব আর কারও নেই।।
দুই লেগেই জিনেদিন জিদানের রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে দাপুটে ফুটবল খেলেছে চেলসি। কোচ হিসেবে রিয়ালকে হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়নস লীগ জিতিয়েছেন জিদান। তিনিই কি না পাত্তা পেলেন না পিএসজি থেকে বরখাস্ত হওয়া টুখেলের চেলসির কাছে। খেলোয়াড় কেনায় চলমান মৌসুমে সবচেয়ে বেশি খরচ করেছে চেলসি। কাই হাভার্টজ, টিমো ভের্নার, হাকিম জিয়েখ, বেন চিলওয়েল, এদুয়ার্দ মেন্দিদের মতো পরীক্ষিতদের দলে ভেড়ায় তারা। ল্যাম্পার্ড ব্যর্থ হলেও টুখেল জাদুতে বদলে গেছে চেলসি। দারুণ দল পেয়ে সময়ের অন্যতম সেরা কোচদের হারিয়েছেন টুখেল। বুধবার রাতে হারালেন রিয়াল মাদ্রিদের জিনেদিন জিদানকে, এর আগে ম্যানচেস্টার সিটির পেপ গার্দিওলা, লিভারপুলের ইয়ুর্গেন ক্লপ, টটেনহ্যামে হোসে মরিনহো (এখন টটেনহ্যাম থেকে বরখাস্ত তিনি), এভারটনের কার্লো আনচেলত্তি, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের ডিয়েগো সিমিওনে। চেলসিতে ১০০ দিনে বিভিন্ন টুর্নামেন্টে সময়ের অন্যতম সেরা এই ছয় কোচের মুখোমুখি হয়েছেন টুখেল আটটি ম্যাচে, হারিয়েছেন সবাইকেই!