ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, আদালতের রায় বা পর্যবেক্ষণের সময় বিচারপতিদের মৌখিক বয়ান প্রকাশ করতে পারবে সংবাদমাধ্যম। এতে সংবাদমাধ্যমকে বাধা দেয়া যাবে না। এতে বাধা দেয়ার অর্থ বাকস্বাধীনতার অধিকার খর্ব করা।
সমপ্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গসহ চারটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত একটি অঞ্চলে বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলার সময় করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার যাবতীয় দায় নির্বাচন কমিশনের ওপর চাপিয়ে মাদ্রাজ হাইকোর্ট বলেছিলেন, ‘কমিশনকে খুনি বললেও অত্যুক্তি হয় না।’
আদালতের ওই মন্তব্য তখন ভারতের সব সংবাদমাধ্যমে সবিস্তারে প্রকাশিত হয়েছিল। নির্বাচন কমিশন তাতে আপত্তি জানিয়ে একটি মামলা করে সুপ্রিম কোর্টে। তাতে কমিশনের তরফে বলা হয়, কোনো রায় বা পর্যবেক্ষণের সময় বিচারপতিদের লিখিত মন্তব্যগুলোই সংবাদমাধ্যমের প্রকাশ করা উচিত, তাদের মৌখিক বয়ান প্রকাশ করা উচিত নয়।
গতকাল সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে ভারতের শীর্ষ আদালতের একটি বেঞ্চ বলেছেন, ‘আদালতের শুনানির পুঙ্খানুপুঙ্খ প্রকাশ করার ক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা যায় না। এটা বাকস্বাধীনতার বিশেষ অংশ। তাই আদালত ওই নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে না। এখন ডিজিটাল মাধ্যমের যুগ।
মানুষ ইন্টারনেটে সব সময় নতুন নতুন খবর সার্চ করছেন।
খবর পেতে চাইছেন। সেই খবর তো তাদের দিতে হবে সংবাদমাধ্যমকে।’