২২ বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারে এবারই প্রথম এমন সংকটকালীন সময়ের মুখোমুখি হয়েছেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস। করোনার কারণে দেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির যে অবস্থা তাতে সবার মতো চিন্তিত তিনিও। কেমন মনে হচ্ছে চলচ্চিত্রের অবস্থা? এই নায়ক বলেন, দুই ঈদকে কন্দ্রে করেই চলচ্চিত্রের মূল ব্যবসাটা হয়। গত বছরের ঈদটাও চলে গেলো। এ বছরের ঈদও চলে এসেছে। অনেক ছবিই তৈরি হয়ে আছে উৎসবকে উপলক্ষ্য করে। সেই ছবির প্রযোজকরা বিপদগ্রস্থ অবস্থায় আছেন। আমার নিজের প্রোডাকশন হাউজেরও দুটি ছবি তৈরি হয়ে আছে।
কিন্তু ছবি মুক্তি দিতে সাহস পাচ্ছি না। সব মিলিয়ে চলচ্চিত্র এখন ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন। কিন্তু এখান থেকে উত্তরণের উপায় কী? ফেরদৌস বলেন, উত্তরণের উপায় একটাই। সেটা হচ্ছে অনলাইন মাধ্যমে ছবি মুক্তি দেয়া। মানুষ তো এখন ঘরে বসে প্রচুর সিনেমা দেখছে। বলিউডের অনেক ছবি ইতিমধ্যে অনলাইনে এসেছে এবং ভালো সাড়াও পাচ্ছে। এদিকে ফেরদৌসের কিছু সিনেমার কাজও থমকে গেছে। সেগুলোর কী অবস্থা? এ নায়ক বলেন, এ বছর 'গাঙচিল' সিনেমার মুক্তির পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে ধাপে ধাপে কাজ পেছাতে হয়েছে। এখনও আমাদের একটা বড় অয়োজনের কাজ বাকি। এছাড়া আরও কিছু সিনেমার কাজ আটকে গেছে। মান্না ভাইয়ের প্রোডাকশন হাউজ থেকে 'জ্যাম' সিনেমার কাজ শুরু করেছিলাম। সেটারও শুটিং করতে পারছি না। করোনার মধ্যেই আপনার 'গন্তব্য' সিনেমা মুক্তি পেয়েছিল। কেমন সাড়া পেয়েছেন? ফেরদৌস বলেন, সেই অর্থে সাড়া পাইনি। হল খোলা ছিল। কিন্তু মানুষ হলে যেতে স্বাচ্ছ্বন্দ্যবোধ করছিলো না। তাই সিনেমাটি দেখার সুযোগ কম ছিল। এ নায়ক জানান, ঘরে বসে টেলিভিশনের খবর দেখলে তার মন খারাপ হয়ে যায়। তিনি বলেন, মানুষজন মাস্ক ছাড়া ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা চাইছি স্বাভাবিক জীবন। কিন্তু কেউ সহযোগিতা করছে না। এটাই দুঃখ লাগে। এবারের ঈদে জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান 'ইত্যাদি'তে অভিনয় করেছেন ফেরদৌস। হানিফ সংকেতের গ্রন্থনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনায় বিশেষ ভূমিকায় দেখা যাবে তাকে।