কোয়েল মল্লিকের সঙ্গে জুটি বেঁধে হরনাথ চক্রবর্তী-র পরিচালনায় ২০০৭ সালে বাংলা ছবি ‘নবাব নন্দিনী’তে অভিনয় শুরু। ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’, ‘জ্যাকপট’, ‘মন যে করে উড়ু উড়ু’-র মতো একাধিক জনপ্রিয় বাংলা ছবিতে দেখা গিয়েছে তাকে। তারপর হঠাৎই গায়েব হয়ে যান ইন্ডাস্ট্রি থেকে। ২০১৭ সালে ‘জিও পাগলা’ ছবিতে শেষ দেখা গিয়েছে তাকে। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি থেকে ভোটে দাঁড়ানোয় অনেকেই চমকে গিয়েছিলেন। প্রশ্ন উঠেছিল, অভিনয় জগতে নিজের জায়গা করতে না পারার জন্যই কি রাজনীতিতে পদার্পণ?
সম্প্রতি, এক সাক্ষাৎকারে দিলীপ ঘোষের গড়,খড়কপুর সদর থেকে ভোটে জেতা হিরণ জানালেন, ২০০৭ থেকে প্রতি বছর আমি একটা করে ছবি করেছি। কোনও বছর একটার বেশি ছবি করিনি। আবার ২০১৭-তেও একটা ছবি করেছি।
কেউ হয়তো বছরে ৫০টা ছবি করেছে। কিন্তু হিট হয়েছে পুরো ক্যারিয়ারে ৪-৫টা। এখনও টিভি খুলে দেখুন, 'নবাব নন্দিনী' দেখতে পাবেন। বা 'জামাই ৪২০' দেখতে পাবেন। এ সব জানা সত্ত্বেও এই যে মিডিয়ার চাপিয়ে দেওয়ার একটা চেষ্টা, হিরণ প্রথম পাঁচ বছর অনেক কিছু করেছে, আর তারপর কিছু করেনি…।
হিরণ দাবি করেছেন কামাল হাসানকে অভিনেতা-রাজনীতিবিদ বলা হলেও তার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় শুধুমাত্র তারকা প্রার্থী কথাটি। যা একপ্রকার ভুল। বিজেপির এই সাংসদ জানান, আমি ২২ বছর ধরে রাজনীতি করছি। সিপিএমের গুণ্ডারা মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে চলে গিয়েছে। পার্ট টু পরীক্ষা দিতে পারিনি। ২০১৪ সালে আমি তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতির দায়িত্ব সামলেছি। অনেক দায়িত্ব এখন তার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করার চেষ্টা করে যাবেন। আর ভালো ছবির অফার পেলে অবশ্যই অভিনয় করবেন। তবে, কাজের জন্য কোথাও মাথা নত করব না।