বুধবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০০৭ দিন ১৬৭গত দুই সপ্তাহ যাবৎ দেশের দুটি সর্বাধিক প্রচারিত সংবাদপত্র প্রথম আলো ডেইলী স্টার-এর বিরুদ্ধে ইসলাম ও মহানবীর (সঃ) ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন ছাপার অভিযোগে জনগণের ব্যাপক বিষোদগারণ চলছে। কতিপয় সংগঠন পত্রিকা দুটির সম্পাদক মতিউর রহমান ও মাহফুজ আনামকে গ্রেফতার করার দাবি জানিয়েছে। আমি নিশ্চিত যে, কোনো অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে বেপরোয়াভাবে তা ছাপানো হয়নি। এ ধরনের হঠাৎ করে জেগে ওঠা প্রতিবাদের ঝড় অচিরেই স্তিমিত হয়ে আসবে।
বাংলাদেশে বিদেশি কোনো অতিথি এলে ক্ষমতাসীন সরকারকে সবসময়ই একটা সচ্চরিত্রের সার্টিফিকেট দেন। তবে বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের বেলায় তা ঘটেনি। সফররত কমনওয়েলথের মহাসচিব ডোনাল্ড ম্যাককুকিন বলেছেন, “নির্বাচন বিলম্বিত করে সরকার আগুন নিয়ে খেলা করছেন।”
সরকার ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের আস্থা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে। এটা একটা শুভ উদ্যোগ, তবে ইতিমধ্যেই খানিকটা দেরি হয়ে গেছে। একবার এ আস্থা ভেঙে গেলে তা ফিরে আসতে সুদীর্ঘ সময় লেগে যায়।
ক্ষতির পরিমাণ হয় ভয়াবহ। উপরন্তু এরপরেও ব্যবসায়ী নেতাদের ওপর নিবর্তনের মাত্রা অব্যাহত রয়েছে।
যৌথবাহিনী ও বিডিআর বাজারব্যবস্থার ওপর যতই খবরদারি করছে, জিনিসপত্রের দাম যাচ্ছে ততই বেড়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৭ দিন ১৬৮ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশে দুর্নীতির মাত্রা আগের সেই একই পর্যায়ে রয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা বরং বেড়েছে। বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাত্রাও এখন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। অন্যান্যের মতো দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য আয়ের উৎসের তুলনায় অধিক সম্পদের যে অভিযোগ করা হয়েছে, তাতে তার স্ত্রী, এমনকি শাশুড়িকেও সহ-অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধেও চলছে সেই জঘন্য চক্রান্ত। তারচেয়ে চমকপ্রদ বিষয় হলো, প্রচার মাধ্যমে তারেকের বিরুদ্ধে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ প্রচার করা হলেও মামলা করা হয়েছে মাত্র ৪ কোটি টাকার- তাও আবার দৈনিক দিনকাল নামের একটি পত্রিকাসংক্রান্ত বিষয়ে- তার নিজের ব্যাপারে নয়।
শুক্রবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০০৭ দিন ১৬৯আইনসংক্রান্ত আলোচনার জন্য তারেক রহমান এসেছিল আমার কাছে। কি করতে হবে এ নিয়ে তারেক রহমানকে আমি পরামর্শ দিয়েছি এবং তার স্ত্রী ও শাশুড়ির বিষয়ে কি করতে হবে তা নিয়ে কিছু পরামর্শ কাগজে লিখে দিয়েছি। সহ-অভিযুক্ত হিসেবে স্ত্রী ও শাশুড়িকে সংযুক্ত করার ব্যাপারটি পুরোপুরিভাবে বেআইনি। দুর্নীতি দমন কমিশনের আইন অনুযায়ী প্রত্যেককে পৃথক পৃথকভাবে অভিযুক্ত করে নোটিশ পাঠাতে হবে।
৫ই সেপ্টেম্বর রেডিসন হোটেলে ব্যবসায়ীদের কাছে প্রধান উপদেষ্টা ও সেনাবাহিনী প্রধান প্রতিশ্রুতি দেওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই কতিপয় নেতৃস্থানীয় ব্যবসায়ীসহ ৮০ জন ‘দুর্নীতিবাজ’-এর নতুন একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
দিন এগিয়ে চলেছে দ্রুত। আজ ১৫তম রমজান। আমি বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ওপর বই লেখার কাজ প্রায় শেষ করে এনেছি।
শনিবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০০৭ দিন ১৭০দুর্নীতি যাদের দমন করার কথা, এখন দুর্নীতি তাদের হাতে কেন্দ্রীভূত হয়েছে। তদন্তকারী অফিসার, কয়েকজন জেনারেলসহ ভদ্রবেশী ডাকাতরা নানা উপায়ে রাতারাতি কামিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। ব্যবসায়ীদের পরিবারসহ সড়ক বা নদীপথে দেশের বাইরে পার করে দিয়ে বিপুল অর্থ উপার্জনও এক ধরনের ভালো ব্যবসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত আট মাসে শত শত ব্যবসায়ী এভাবে পাততাড়ি গুটিয়েছেন দেশ থেকে। দ্বিতীয় এক ধরনের ব্যবসা হলো যারা ইতিমধ্যে কোটি কোটি টাকার মালিক তাদেরকে গ্রেফতার, লোকনিন্দা ও নাজেহাল হওয়ার হাত থেকে রক্ষার জন্য তাদের স্থাবর সম্পত্তির মালিকানা ও দখলীস্বত্ব জোরপূর্বক এসব দুর্বৃত্তের নামে হস্তান্তর করিয়ে নেওয়া। তৃতীয় আরেকটি ব্যবসা হলো দুর্বল ও অর্থবান ব্যবসায়ীদের নানাভাবে ব্ল্যাকমেইল করে সরাসরি নগদ টাকা আদায় ও আত্মসাৎ করা।
এই অবস্থায় জবাবদিহিতাবিহীন দুর্নীতির অপ্রতিরোধ বিকাশই শুধু নয়, তার অতলতম গভীরে অনুপ্রবেশই হচ্ছে একমাত্র নিয়তি।
রবিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০০৭ দিন ১৭১জাতীয় বুর্জোয়াবাদের বিকাশ ঘটা ছাড়া রাষ্ট্রীয় মূলধন বিস্তৃতির কোনো বিকল্প নেই। অকমিউনিস্ট মুক্তবাজার অর্থনীতির এটি একটি চিরন্তন শর্ত। কাজেই উদ্যোক্তাদের অর্থ বৈধ বা অবৈধ যে পথেই উপার্জিত হোক না কেন, তাদের মূলধন উৎপাদন খাতে বিনিয়োগ করার সুযোগ দিয়ে করের আওতায় নিয়ে আসার বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি। আমেরিকা থেকে শুরু করে কোরিয়া, যুক্তরাজ্য বা জাপানসহ সর্বত্র একই অভিজ্ঞতা প্রয়োগ করা হয়েছে।
বর্তমান বৃহৎ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে যে অপতৎপরতা চালানো হচ্ছে তাতে জাতীয় মূলধন ব্যবস্থার সম্প্রসারণ প্রক্রিয়া পুরোপুরিভাবে ব্যাহত হবে এবং রাষ্ট্রীয় অর্থনীতির ওপর পড়বে এর মারাত্মক প্রভাব। বাংলাদেশের মতো প্রান্তিক অর্থনীতির একটি দেশে জাতীয় বুর্জোয়াবাদ ধ্বংসের এই প্রয়াস স্রেফ একটি আত্মঘাতী পদক্ষেপ মাত্র। জাতীয় রাষ্ট্রব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য এটি একটি চক্রান্ত ছাড়া আর কিছুই নয়।
সোমবার ১ অক্টোবর ২০০৭ দিন ১৭২অ্যাপিলেট ডিভিশনের চেম্বার জজ সরকারের দায়ের করা একটি সাময়িক আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন, ফলে হাইকোর্ট ডিভিশনে আমার বিরুদ্ধে নিবর্তন আটকাদেশকে অবৈধ ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত অন্ততঃপক্ষে এখনকার মতো বহাল রাখা হয়েছে। আমাদের বিচার ও আদালত ব্যবস্থা যদি ভারতের মতো হতো, তাহলে এমতাবস্থায় আমার বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা অবৈধ আটকাদেশের কারণে সরকারের ওপর ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ জারি করানো যেত। যাই হোক, নিবর্তনমূলক আটকাদেশ অবৈধ ঘোষণার ফলে এখন প্রতি সপ্তাহে যে কেউ আমার সঙ্গে দেখা করতে পারবেন ও আইনজীবীরা আমার কাছে আসতে পারবেন পরামর্শের জন্য। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে তাদের আর পূর্বানুমতি সংগ্রহ করতে হবে না। আমার জন্য এ হলো অত্যন্ত আনন্দদায়ক একটি সুসংবাদ। একজন কয়েদীর জন্য পুলকিত হওয়ার মতো ঘটনা প্রায় ঘটে না বললেই চলে।
আরেকটি সুসংবাদ হলো, দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা আমার বিরুদ্ধে আনীত সম্পত্তি আর আয় সংক্রান্ত অভিযোগ চ্যালেঞ্জ করে আমি যে রীট পিটিশন করেছিলাম তার প্রেক্ষিতে বিচারপতি শাহ আবু নাইমের সভাপতিত্বে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশনের একটি বেঞ্চ সে মামলা স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়ে একটি রুল জারি করেছেন, এখন দুর্নীতি দমন কমিশন আমার বিরুদ্ধে তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজনীতিবিদ হিসেবে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন ও নাজেহাল করার যে প্রয়াস চালিয়েছিল তা স্থগিত হলো। দুর্নীতি দমন কমিশনকে এ বিষয়ে একটি শিক্ষা দেওয়ার সময় এসেছে।
তারেক রহমান আবার এসেছিল আমার কাছে পরামর্শের জন্য। অন্যান্য অনেক বিষয়েও আমরা আলোচনা করেছি। সম্মুখের বারান্দার পশ্চিম প্রান্তের শেষ কক্ষে তার বাস। পূর্ব প্রান্তের শেষ একটিতে থাকি আমি।
মঙ্গলবার ২ অক্টোবর ২০০৭ দিন ১৭৩পত্রিকা পড়লে মনে হবে দেশে কেবলমাত্র একটি সমস্যা রয়েছে এবং তা হলো রাজনীতিবিদদের দুর্নীতি। এছাড়া যেন দেশে আর কোনো সমস্যা নেই। রাজনীতিবিদদের দেশের জঘন্যতম শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে বানোয়াট সংবাদে পত্রিকার প্রত্যেকটি পাতা ভরপুর থাকে।
অথচ দেশের মূল সমসাগুলো অচিহ্নিত ও অবহেলিত রেখে এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে। বিরাট সংখ্যক লোকজন প্রতিদিন মারা যাচ্ছে অনাহারে, দুর্ভিক্ষে। উন্নয়ন কাজের বিন্দুমাত্র উদ্যোগ নেই, নেই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা। অথচ তাদের জন্য বলার কেউ নেই। ভগ্নপ্রায় হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, প্রাইমারি স্কুলগুলোর দিকে কেউ নজর দিচ্ছে না। জননির্বাচিত প্রতিনিধিদের অনুপস্থিতিতে গ্রামীণ রাস্তাঘাট, সড়ক, কালভার্ট, বিদ্যুৎব্যবস্থা বা হাটবাজারের দুরবস্থার বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য কেউ নেই। চুরি, হাইজ্যাক, ডাকাতি, ধর্ষণ, খুন, জমি জবরদখল কিংবা গ্রামীণ জোতদার কর্তৃক স্থানীয় আমলাদের সহযোগিতায় চরদখল বা অন্যের কৃষিজমির জবরদখলের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলোর কোনো সুরাহা এখন আর হচ্ছে না। বিরাট সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ যে শুধু দিনে দিনে দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর হচ্ছে সামরিক সরকারের সমর্থিত অবৈধ সরকারের সেদিকে কোনো নজর নেই।
বুধবার ৩ অক্টোবর ২০০৭ দিন ১৭৪যেদিন থেকে দুর্নীতি দমন কমিশন অবৈধ সরকারের পরিকল্পনা মোতাবেক সামরিক। প্রধানের অধীনে কর্মরত অফিসারদের দ্বারা বাছাই করা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে তাদের ধ্বংস করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বাহ্যত সেদিন থেকেই কমিশন তার কার্যকারিতা ও স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলেছে। নিজ থেকে কমিশন কখনোই দুর্নীতিবাজদের কোনো তালিকা তৈরি করেনি। আইনের তোয়াক্কা না করে ওদের হাতে যাদের নাম দেয়া হয়েছে কমিশন আজ্ঞাবহ দাসের মতো শুধু তাদের বিরুদ্ধেই কাজ করেছে। অবনত হয়েছে সরকারের অযৌক্তিক ‘বাছাই পদ্ধতির’। প্রতিষ্ঠান হিসেবে কমিশনের কোনো একাভুক্ত কর্তৃত্ব না থাকায় একদিন এর সমস্ত কার্যক্রম ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে। সবচেয়ে বিস্ময়ের ব্যাপার হবে এই যে, আজ মহাদুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ হিসেবে যেসব লোককে আটক ও ক্যাঙ্গারু কোর্টে সাজা দেওয়া হয়েছে, সে সাজা রদ করে নিষ্কলুষ হিসেবে একদিন তারা সবাই মুক্ত হয়ে আসবেন।
প্রধান উপদেষ্টার চাপ থাকা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আজ পর্যন্ত কারাগারে দুঃসহ দিন কাটাচ্ছেন। এতে আরেকবার প্রমাণিত হয় যে, প্রধান উপদেষ্টা একজন ক্ষমতা ও মেরুদণ্ডহীন ব্যক্তিমাত্র।
(চলবে..)
আরো পড়ুন-
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১)মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৩) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৪) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৫) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৬) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৭)মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৮) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৯) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১০) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১১) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১২) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৩) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৪) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৫) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৬) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৭) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৮) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৯)মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২০) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২১) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২২)মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২৩)মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২৪)মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২৫) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২৬) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২৭) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২৮) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২৯) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৩০) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৩১)মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৩২) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৩৩) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৩৪) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৩৫) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৩৬) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৩৭)মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৩৮)মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৩৯) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৪০) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৪১) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৪২) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৪৩)