প্রথম লেগেই ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত হয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। ৬-২ ব্যবধানে জয়ের পর ফিরতি লেগে ৩-২ ব্যবধানে রোমার কাছে হারলেও ৮-৫ অগ্রগামিতায় ইউরোপা লীগের ফাইনালে ম্যানইউ। ভিয়ারিয়ালের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে বিদায় নিয়েছে আর্সেনাল। প্রথম লেগে ২-১ গোলে জিতেছিল ভিয়ারিয়াল। চ্যাম্পিয়নস লীগের পর ইউরোপা লীগেও ‘অল ইংলিশ’ ফাইনালের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। আর্সেনালের ড্রয়ে সে সম্ভাবনার ইতি ঘটেছে।
ম্যানইউকে ফাইনালে তুলতে বড় অবদান এডিনসন কাভানির। প্রথম লেগে করেছিলেন জোড়া গোল। বৃহস্পতিবার ফিরতি লেগেও জোড়া গোল করেছেন এই উরুগুইয়ান ফরোয়ার্ড।
রোমার মাঠে কাভানির গোলে লিড নেয় ম্যানইউ। ফ্রেডের পাস ধরে ২০ গজ দূর থেকে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। পুরো ম্যাচে উজ্জীবিত ফুটবল খেলেছে রোমা। প্রথমার্ধে ইতালিয়ান ক্লাবটি গোল পায়নি ইউনাইটেড গোলরক্ষক ডেভিড ডি গিয়ার অসাধারণ তিন সেভে।
বিরতির পরও একাধিকবার ম্যানইউকে গোল হজম থেকে রক্ষা করেন এই স্প্যানিশ গোলরক্ষক। দ্বিতীয়ার্ধে তিন মিনিটের মধ্যে দুই গোল করে ভিন্ন কিছুর আভাস দিচ্ছিল রোমা। ৫৭ মিনিটে এডেন জোকো ও ৬০ মিনিটে ব্রায়ান ক্রিসতান্তে গোল করলে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ৬৮তম মিনিটে কাভানির আরেক গোলে স্বস্তি ফেরে ম্যানইউ শিবিরে। নির্ধারিত সময়ের সাত মিনিট বাকি থাকতে নিকোলা জালেভস্কির গোলে রোমা আবার এগিয়ে যায়। জিতলেও মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়তে হয় রোমার ফুটবলারদের। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোচ হিসেবে প্রথমবার কোনো প্রতিযোগিতার ফাইনালে ওলে গানার সুলশার। এর আগে চারবার সুলশারের ম্যানইউকে বিদায় নিতে হয়েছে সেমিফাইনাল থেকে।
অন্যদিকে ভিয়ারিয়াল কোচ উনাই এমেরি নিয়েছেন মধুর প্রতিশোধ। ২০১৯ সালের নভেম্বরে তাকে বরখাস্ত করে মিকেল আর্তেতাকে দায়িত্ব দিয়েছিল আর্সেনাল। এমিরেটস স্টেডিয়ামে এমেরির ভিয়ারিয়াল জয় না পেলেও নিজেদের জাল অরক্ষিত রেখে ফাইনালে ম্যানইউর সঙ্গী হয়েছে। শিরোপার মঞ্চে দু’দল মুখোমুখি হবে ২৬শে মে, পোল্যান্ডের গদানস্কে। গত আট বছরের মধ্যে পাঁচবার নিজের দলকে ইউরোপা লীগের ফাইনালে নিয়ে গেলেন এমেরি। সেভিয়াকে তিনবার ফাইনালে তুলে প্রতিবারই শিরোপা জিতিয়েছেন। ২০১৯ সালে আর্সেনালকে ফাইনাল জেতাতে পারেননি। এই স্প্যানিশ কোচের হাত ধরে দীর্ঘদিনের আক্ষেপের অবসান ঘটিয়েছে ভিয়ারিয়াল। এর আগে চারবার ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেয় তারা। পঞ্চমবারের চেষ্টায় ইউরোপিয়ান ফাইনালের স্বাদ পেল স্প্যানিশ ক্লাবটি। অন্যদিকে আর্সেনাল শিবিরে হতাশার সুর। ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে মিকেল আর্তেতার দল রয়েছে নবম স্থানে। আগামী মৌসুমে গানারদের ইউরোপিয়ান মঞ্চে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। শেষবার গানারদের এমন অভিজ্ঞতা হয়েছিল ১৯৯৫-৯৬ মৌসুমে।