× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ভার্চুয়াল মানববন্ধনে সুনির্দিষ্ট করারোপের মাধ্যমে তামাকপণ্যের দাম বৃদ্ধির দাবি

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(২ বছর আগে) মে ৭, ২০২১, শুক্রবার, ৫:০৮ অপরাহ্ন

সিগারেটসহ সকল তামাকপণ্যে সুনির্দিষ্ট করারোপের মাধ্যমে দাম বৃদ্ধির দাবিতে দেশব্যাপী ভার্চুয়াল মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ৫ মে একযোগে দেশের সকল বিভাগের শতাধিক নাগরিকের উদ্যোগে অভিনব এই ভার্চুয়াল মানববন্ধন কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের অবস্থান থেকে ‘তামাকপণ্যে বাড়লে কর--বাঁচবে তরুণ, দেশ হবে স্বনির্ভর’ এবং ‘দাম বাড়ান তামাকের, জীবন বাঁচান আমাদের’ ফেস্টুন হাতে ছবি তুলে তাদের নিজস্ব ফেসবুকে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে আপলোড করেন। মানববন্ধন থেকে সুনির্দিষ্ট করারোপের মাধ্যমে তামাকপণ্যের দাম তরুণ ও স্বল্প আয়ের মানুষদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে নেওয়ার দাবি জানানো হয়। মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিং-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত এমপি বলেন, ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে ও  সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষায়, তামাক নিয়ন্ত্রণের বিকল্প নেই। তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্তি পেলে অর্থনৈতিকভাবে আমরা আরও বেশি স্বাবলম্বী হতে পারবো। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নের জন্যেও তামাক নিয়ন্ত্রণ গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে সকল তামাকপণ্যের উপর সুনির্দিষ্ট কর পদ্ধতি বাস্তবায়ন একটি কার্যকরী পদক্ষেপ হবে।’ বেসরকারি সংস্থা উন্নয়ন সমন্বয়ের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, তামাকপণ্যে আরও কার্যকর করারোপের মাধ্যমে এসব ক্ষতিকর পণ্যকে মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে নিয়ে যেতে হবে।
বিশেষত দরিদ্র মানুষ যেন তামাকপণ্য ক্রয় করতে না পারেন তা নিশ্চিত করতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এমন উদ্যোগ নিতে হবে।

এই মানববন্ধন কর্মসূচির অন্যতম আয়োজক গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি সংস্থা প্রজ্ঞা’র (প্রগতির জন্য জ্ঞান) নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের বলেন, আমাদের তামাক-কর কাঠামো ঢেলে সাজাতে হবে এবং এক্ষেত্রে তামাকপণ্যে সুনির্দিষ্ট করারোপ পদ্ধতি হতে পারে একটি কার্যকর উপায়।

তামাকবিরোধী সংগঠন ঢাকা আহছানিয়া মিশন, ভয়েস, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন, উন্নয়ন সমন্বয়, ডর্প এবং প্রজ্ঞা সম্মিলিতভাবে এই কার্যক্রমটি বাস্তবায়ন করেছে। এতে সার্বিক সহযোগিতা করেছে ‘টোব্যাকো ফ্রি উই’।

তামাকবিরোধী সংগঠনগুলোর দাবি, তামাক-কর ও দাম বৃদ্ধি করা হলে প্রায় ১১ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপায়ী ধূমপান ছেড়ে দিতে উৎসাহিত হবে, দীর্ঘমেয়াদে ৩ লাখ ৯০ হাজার বর্তমান ধূমপায়ী এবং ৪ লাখ তরুণের অকাল মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হবে এবং সিগারেট থেকে সম্পূরক শুল্ক, স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ এবং ভ্যাট বাবদ সরকারের অতিরিক্ত ৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হবে। এছাড়াও বিড়ি, জর্দা এবং গুলের মূল্যবৃদ্ধি স্বল্প আয়ের মানুষের মধ্যে এসব পণ্যের ব্যবহার নিরুৎসাহিত করবে এবং এসব খাতে সরকারের রাজস্ব আয় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে।

 
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর