নিজের হাতে কাঁচা শাড়িটি পরে বিধানসভায় শুক্রবার শপথ নিতে এসেছিলেন বাঁকুড়ার শালতোড়া থেকে বিজয়ী বিধায়ক বিজেপির চন্দনা বাউরি। চার হাজার ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের সন্তোষ মণ্ডলকে যেদিন তিনি হারিয়েছিলেন, নিজের গায়েই চিমটি কেটে দেখেছিলেন- একি মায়া না স্বপ্ন? স্বপ্নের মায়াপুরী বিধানসভায় ঢুকে এদিন হকচকিয়ে যান বিসিন্দির কেলাই গ্রামের বাসিন্দা চন্দনা। তৃণমূলের এই প্রবল হাওয়ার মধ্যেও জিতে যিনি কৃতিত্ব দিতে চান নরেন্দ্র মোদিকে - মোদিজি সাধারণ মানুষের জন্য কত কাজ করেন!
গ্রামে স্বামী শ্রাবন বাউরি একজন প্রতিষ্ঠিত রাজমিস্ত্রি। তার জোগাড়ের কাজ করেন চন্দনা। ইট - বালি বহন করেন মাথায়। তিন ছেলে-মেয়ে চন্দনার। তাদের দেখাশোনার কাজ করতে হয়। এছাড়াও তিনটি গরু আর তিনটি ছাগল আছে চন্দনাদের।
ছাগল চড়াতে প্রায়ই জঙ্গলে যান চন্দনা। ইলেকশন কমিশনে দেয়া হিসেব অনুযায়ী, চন্দনার মোট সম্পদ ৩১ হাজার ৯৮৫ টাকার। শ্রাবনের সম্পদের পরিমাণ ৩০ হাজার ৩৭৭ টাকা। টিভিতে যাদের ছবি দেখেন, কাগজে ছবি দেখেন তাদের সঙ্গে শপথ নিতে চন্দনার বুকটা ঢিব ঢিব করছিলো। লুকালেন না সেই কথা। সবটাই তাঁর কাছে নতুন। মন্ডলের এক দাদা গাড়ি দিয়েছেন, সেই মোটর গাড়ি চেপে চন্দনা এসেছেন শপথ নিতে। যখন বলছিলেন, আমি চন্দনা বাউরি... তখন ছেলে মেয়েদের মুখটা মনে পড়ছিলো। আর শালতোড়ার কথা। যাঁরা তাকে জিতিয়েছেন তাদের ভোলেন কি ভাবে? ওদের জন্যেই তো আমি এখানে।চন্দনা বাউরি হাত কপালে ঠেকালেন। তাঁর ভোটারদের উদ্দেশেই কি?