রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে ফেক নিউজ এবং ভিডিও ছড়ানোর দায়ে কলকাতা পুলিশ গ্রেপ্তার করলো আকাশ মন্ডল নামের এক যুবককে। এই প্রথম ফেক নিউজ ছড়ানোর অভিযোগে কাউকে গ্রেপ্তার করা হলো। অভিযোগ, আকাশ মন্ডল তার সহযোগী তথ্য প্রযুক্তির ছাত্র অর্ঘ্য সরকারের সহায়তায় এই ফেক নিউজ এবং ভিডিও ছড়িয়ে যাচ্ছিলো সোশ্যাল মিডিয়ায়। শীতলকুচির ঘটনায় মৃত একজন হিসেবে দিল্লির এক সাংবাদিক অভ্র বন্দোপাধ্যায়ের ছবি প্রকাশ করে আকাশ। এরপরই অভ্র সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন যে, তিনি বহালতবিয়তে বেঁচে আছেন। এই পোস্টটি অনুসরণ করে কলকাতা পুলিশের সাইবার সেল ফেসবুক এবং টুইটারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তাদের কাছে বিস্তারিত বিবরণ পেয়ে গ্রেপ্তার করা হয় আকাশকে। এছাড়াও বলিউডের বিশিষ্ট তারকা কঙ্গনা রানাউতের একটি পোস্টের জন্য তার বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। পোস্টটিতে কঙ্গনা লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুদের গণহত্যার শিকার হতে হচ্ছে। এর আগেও উল্টোডাঙা থানায় কঙ্গনার বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়লেও তার বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশের এফআইআরও প্রথম।
ভোটের পর রাজ্যের অবস্থা নিয়ে রিপোর্ট চাইলো হাইকোর্ট
রাজ্যে ভোটের পরে উদ্ভূত হিংসাত্মক অবস্থা নিয়ে সরকারের কাছে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চাইলো হাইকোর্ট। সোমবার এই রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। কোন কোন জায়গায় অশান্তি মূলত ছড়িয়েছে তা জানতে চেয়েছে আদালত। শুধু তাই নয়, পুরো বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল এর নেতৃত্বে একটি পাঁচ সদস্যের বেঞ্চও গড়া হয়েছে ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে। বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি আইপি মুখোপাধ্যায়, হরিশ ট্যান্ডন, সৌমেন সেন ও সুব্রত তালুকদার। অনিন্দ্যসুন্দর দাস এর আনা একটি জনস্বার্থের মামলার ভিত্তিতে এই পদক্ষেপ। অনিন্দ্য বাবু তার আবেদনে বলেছেন, ভোট উত্তর সংঘাত বাংলায় নতুন নয়। কিন্তু এবার তা মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। তিনি আদালতের হস্তক্ষেপের আবেদন জানান। রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত এই আবেদনের বিরোধিতা করে বলেন, সবরকম ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী শপথ নেয়ার পর অবস্থার উন্নতি হয়েছে। হিংসা নিয়ে কিছু ভ্রান্ত প্রচারও আছে। সলিসিটার জেনারেল ওয়াই যে দস্তুর বলেন, কোথাও সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ হয়নি। এই বিষয়ে রটনা নিছক কল্পনাবিলাস। সোমবার ফের শুনানি হবে।
।