× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আলাপন /মন থেকে চাইলে সবই সম্ভব -জ্যোতিকা জ্যোতি

বিনোদন

ফয়সাল রাব্বিকীন
৮ মে ২০২১, শনিবার

দুই পর্দার সুঅভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি। গত কয়েক বছর ধরে বড় পর্দাতেই ব্যস্ত তিনি। ছোট পর্দায় কাজ করছেন খুবই কম। এরইমধ্যে কলকাতায় তার অভিনীত 'রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত' ছবিটি মুক্তি পেয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছে। অন্যদিকে সবশেষ দেশে তার অভিনীত 'মায়া, দ্য লস্ট মাদার' ছবিটি মুক্তি পায়। তবে এবার অনেক দিন পর ছোট পর্দায় পাওয়া যাবে জ্যোতিকে। এমনটাই জানালেন তিনি। অনিমেষ আইচ পরিচালিত ‘আলিবাবা ও চালিচার’ নামের একটি বিশেষ টেলিছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।
এতে এ অভিনেত্রী কাজ করেছেন একজন গৃহিণীর চরিত্রে। কদিন আগেই ঢাকা ও গাজীপুরে এর চিত্রায়ন হয়েছে। এতে আরও অভিনয় করেছেন ইশতিয়াক আহমেদ রুমেল ও নূর ইমরান মিঠু। অনেক দিন পর টেলিছবিতে কাজ করা হলো। কেমন লেগেছে? উত্তরে জ্যোতি বলেন, বেশ মানসম্পন্ন একটি কাজ হয়েছে। ভিন্নতা আছে গল্পে, সেটা নাম শুনলেই বোঝা যায়। লাবণী নামের এক গৃহিণীর চরিত্রে অভিনয় করেছি। এখানে ধনী-গরিব দুই শ্রেণির দুটি পরিবারের গল্প ফুটে উঠেছে। ঈদে জ্যোতি অভিনীত  ‘আলিবাবা ও চালিচার’ দেখা যাবে বঙ্গ বিডিতে। চলচ্চিত্রের কি খবর? এ অভিনেত্রী বলেন, দেশের পরিস্থিতি ভালো নয়। করোনার জন্য অনেক কাজ বন্ধ রয়েছে। কিছু কাজ নিয়ে কথা হচ্ছে। করোনার কারণে শুটিংয়ের পরিকল্পনা করা যাচ্ছে না। এর আগে 'লাল মোরগের ঝুঁটি' ছবিতে অভিনয় করেছি। এ ছবিটি মুক্তি পাবে পরিস্থিতি একটু ঠিক হলেই। ছবিটি নিয়ে আমি দারুণ আশাবাদী। এদিকে অভিনয়ের পাশাপাশি কৃষিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন এ অভিনেত্রী। 'খনা  অর্গানিক' নামের একটি প্রতিষ্ঠান গড়েছেন। রাসায়নিকমুক্ত খাদ্যপণ্য তৈরি হচ্ছে তার এই খামারে। কিন্তু অভিনয় ও খামার একসাথে সামলাচ্ছেন কিভাবে? জ্যোতি বলেন, মন থেকে চাইলে সবই সম্ভব। সাথে চেষ্টা, পরিশ্রম ও কাজের প্রতি ভালোবাসা থাকতে হবে। আমি এমনিতেও বেছে কাজ করি। যখন অভিনয় করি তখন সেভাবেই সিডিউল মেলাই। আর আমার খামারে টিম রয়েছে। ওরা সব সময় প্রস্তুত মানুষের সেবা দিতে। এ অভিনেত্রী আরো বলেন, শুরু থেকেই কৃষির প্রতি আমার টান রয়েছে। আমাদের বাড়ির পাশে একটা জঙ্গল ছিলো। এটা পড়ে থাকবে কেন, এমন চিন্তা মাথায় এলো। ব্যাস নেমে পড়লাম। প্রথমে বাড়ির আশেপাশে ফল আর ঔষধি গাছ লাগাই। এরপর এলাকার কিছু তরুণ-তরুণীর আগ্রহে  খামার করার চিন্তা আসে। আমরা দেশি মুরগির খামার ও সবজি চাষ শুরু করি। এরইমধ্যে আমি একটি নদী লিজ নিয়েছি। এটা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে আগের অবস্থানে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চাই। সেজন্য প্রশাসনও অনেক সহযোগিতা করছে। আর আশা করছি খামার এখন বড় হতেই থাকবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর