× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ফেরি বন্ধ, শিমুলিয়া ঘাটে ঘরমুখো মানুষের ঢল

অনলাইন

অনলাইন ডেস্ক
(২ বছর আগে) মে ৮, ২০২১, শনিবার, ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন

ঈদের ছুটির আগেই মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে। আজ শনিবার ভোর থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। তারপরও আজ সকাল থেকে দক্ষিণাঞ্চলের ঘরমুখো মানুষের ঢল নামে। মানুষের চাপে সকাল ৯টায় একটি ফেরি ছাড়তে বাধ্য হয় ঘাট কর্তৃপক্ষ। কয়েক হাজার মানুষ নিয়ে ফেরিটি বাংলাবাজার ঘাটের উদ্দেশে শিমুলিয়া ঘাট ছেড়ে যায়। এরপর শিমুলিয়া ঘাটে ভিড় করছেন কয়েক হাজার ঘরমুখো মানুষ। যাত্রীর চাপে হিমশিম খেতে হচ্ছে ঘাট কর্তৃপক্ষকে। এদিকে ঘাট এলাকায় আটকা পড়েছে হাজার হাজার মানুষ এবং শত শত যানবাহন।
বিআইডব্লিউটিসির মাওয়া ঘাটের সহকারী মহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, করোনা সংক্রামণ প্রতিরোধে ফেরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ঘাটে মানুষের চাপ বেড়েছে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সরজমিনে দেখা যায়, আজ সকাল থেকে ঘাট এলাকায় কোনো যানবাহন ঢুকতে দিচ্ছে না পুলিশ। ফলে কয়েক কিলোমিটার হেঁটেই ঘাটে যাচ্ছেন যাত্রীরা। ফেরি বন্ধ থাকার খবর শুনে নিরুপায় হয়ে ঘাটে অপেক্ষা করছেন কেউ কেউ। অনেকে আবার ফিরছেন রাজধানীর পথে।
এরই মধ্যে  সকাল সোয়া ৮টায় বাংলাবাজার থেকে ৭টি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে একটি ফেরি শিমুলিয়া ঘাটে আসে। সঙ্গে সঙ্গে ঘাটে অপেক্ষমাণ যাত্রীরা হুড়োহুড়ি করে ফেরিতে উঠে পড়ে। শত নিষেধ সত্ত্বেও গাদাগাদি করে ফেরিতে উঠে যায় মানুষ। পরে ফেরিটি এই মানুষ নিয়েই ঘাটের অদূরে নোঙর করে রাখে। কিছু সময় পর ফেরিটি ঘাটে ফিরিয়ে জনতাকে নামিয়ে দেয়। সকাল ৯টার দিকে কয়েক হাজার যাত্রী নিয়ে শিমুলিয়া ঘাট থেকে ‘কুঞ্জলতা’ নামে একট ফেরি বাংলাবাজার ঘাটে যেতে দেখা গেছে। ফেরিটিতে যাত্রী ছিলো চোখে পড়ার মতো।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, পদ্মা পাড়ির কোনো ব্যবস্থা এখানে নেই। লঞ্চ স্পিডবোট, ফেরি, ট্রলার সব বন্ধ। প্রশাসন সতর্ক দৃষ্টি রাখছে। নদীতে নৌপুলিশের টহল অব্যাহত রয়েছে। সকালে মাওয়া মৎস্য আড়তে পাশে পদ্মা নদীতে ট্রলারে করে মানুষ পদ্মা পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে প্রশাসন সেটা বন্ধ করে দেয়। ঘাটে পুলিশ সেনাবাহিনী, বিজিবি রয়েছে। ঘাটে আসা জনগণকে ফিরে যেতে বলা হচ্ছে। কেউ কেউ ফিরে গেলেও অধিকাংশই ঘাটে অবস্থান করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জায়গায় জায়গায় ব্যারিকেড দিয়ে যানবাহন ফিরিয়ে দিচ্ছে। ঘাট এলাকায় শতশত যান পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।
এদিকে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় তারা অনেক কষ্টে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ভেঙে ভেঙে আবার হেঁটে পরিবার নিয়ে ঘাটে পৌঁছেছেন। এখন ফিরে যাওয়ার কোনো উপায় নেই। এমনকি অনেকের কাছে ফিরে যাওয়ার ভাড়া পর্যন্ত নেই। আবার কেউ কেউ মনে করছেন একটা সময় ফেরি ছাড়বে তখন তারা যাবেন। তাই ঘাট এলাকায় অবস্থান করছেন তারা।
এর আগে বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, করোনা বিস্তার রোধে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক শনিবার (৮ মে) থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে দিনের বেলায় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে রাতে পণ্যবাহী পরিবহন পারাপারের জন্য ফেরি চলাচল করবে। তিনি বলেছিলেন, করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর