বৃহস্পতিবার ৪ অক্টোবর ২০০৭ দিন ১৭৫প্রায় তিন মাস পর আমার বোন নাফিসা ও আরো কয়েকজন আত্মীয় গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যদের কড়া নজরদারিতে জেলগেটে আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল। আমার বিরুদ্ধে নিবর্তনমূলক আটকাদেশ বহাল না থাকলেও ভেতরে আসার আগে প্রায় গোটাদিন তাদের জেলগেটের বাইরে অপেক্ষা করতে হয়েছে। আমার বিধবা বোন নাফিসা অত্যন্ত অনাড়ম্বর জীবনযাপনে অভ্যস্ত। হঠাৎ করেই কী ভেবে সে তার ব্যাগ খুলে আমার কাজে লাগতে পারে মনে করে আমাকে ১০ হাজার টাকা হাত বাড়িয়ে দিলো। তাঁর অন্তরের ভেতর থেকে আসা এই সহানুভূতিতে ক্ষণিকের জন্য আমি ভাবাবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েছিলাম। আমি সেখান থেকে ৫ হাজার টাকা নিলে আনন্দে তার চোখে পানি এসে গেল। নিয়মানুযায়ী জেল কর্তৃপক্ষের ক্যাশিয়ারের কাছে এই টাকা জমা দেওয়া হলো যাতে করে সংবাদপত্র বা বরাদ্দের অতিরিক্ত দুধ বিস্কুট ক্রয় ইত্যাদির জন্য তা খরচ করা যায়। ঈদ উপলক্ষে ওরা আমার জন্য অনেক কাপড়চোপড়ও নিয়ে এসেছিল।
আমার সম্পত্তি ও আয়-সংক্রান্ত দুর্নীতি দমন কমিশন মামলার হাইকোর্ট বিভাগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেয়া জামিন সুপ্রিম কোর্টের অ্যাপিলেট ডিভিশন স্থগিত করে দিয়েছে।
শেখ হাসিনার মামলাসহ এ ধরনের অনেক মামলারই জামিনের ক্ষেত্রে এমনটি ঘটতে দেখা যাচ্ছে। এইভাবে জরুরি আইনকে সংবিধানের ওপরে স্থান দিয়ে জনগণের মৌলিক অধিকারকে পদে পদে অস্বীকার করা হচ্ছে। অথচ সংবিধানের ১৪৮ অনুচ্ছেদবলে শপথ নেয়ার সময় বিচারপতিরা দেশের সংবিধানকে সংরক্ষণ ও সমুন্নত রাখার জন্যই নিজেদের দায়বদ্ধ করেছিলেন। প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ রুহুল আমীন তার এহেন কার্যকলাপের মাধ্যমে পক্ষান্তরে নিজের মহিমাময় পদমর্যাদা ও প্রতিষ্ঠান হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের মর্যাদাই ক্ষুণ্ন করেছেন।
হাইকোর্ট ডিভিশনের দেয়া প্রতিটি সিদ্ধান্ত যদি আপিল বিভাগ একের পর এক পাল্টে দিয়ে আগের প্রচলিত নজিরগুলো অবজ্ঞা করে যেতে থাকেন, তাতে হাইকোর্ট ডিভিশন রাখার আর কোনো যুক্তি আছে কি না তা নিয়েই প্রশ্ন থেকে যায়।
শুক্রবার ৫ অক্টোবর ২০০৭ দিন ১৭৬এই ভেবে আমার অনেক দুঃখ হয় যে, আমার বিরুদ্ধে সরকারের আনীত দুর্নীতির অভিযোগেই আজ আমাকে জেল খাটতে হচ্ছে। তারচেয়ে বড় কথা হলো আমাকে এমন সব লোকের সঙ্গে একসারিতে ফেলা হয়েছে দুর্নীতির ব্যাপারে যাতে জনসমক্ষে মনে হয় আমি সত্যিই একজন দুর্নীতিবাজ। সচরাচর ব্যক্তিগতভাবে বা সামাজিকভাবে যাদের সাথে আমার কোনো সম্পর্ক থাকার কথা নয়, আজ তাদের সঙ্গে একাকার হয়ে গেছি। বেগম জিয়াসহ আমাদের সকলকে এ সরকার একই কাতারে বসিয়ে দিয়েছে।
আইনি পরামর্শের জন্য তারেক রহমান এসেছিল আমার ঘরে।
শনিবার ৬ অক্টোবর ২০০৭ দিন ১৭৭প্রায় তিন মাস পরে আমানের স্ত্রী জোরাহর কাছ থেকে আমি আমার স্ত্রী ও সন্তানদের খোঁজখবর পেলাম। ওরা কুশলেই আছে। আমান এখন সমারসেটে এবং আনা তার মায়ের সঙ্গে লন্ডনে।
ভোররাত ৪টায় ঘুম থেকে জেগে উঠি আমি। রমজানের জন্য সেহ্রি খেয়ে পৌনে পাঁচটা থেকে ৬-২০ পর্যন্ত আমি নামাজ পড়ি ও পবিত্র কোরআন শরীফ তিলাওয়াত করি। তারপর ১৫ মিনিট হালকা ব্যায়াম করি আমার পিঠ ও কাঁধের জন্য। পৌনে ৭টা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত চলে আমার লেখার কাজ, তারপর নাস্তার পর ২০ মিনিটের জন্য খবরের কাগজ পড়ে আবার লেখার কাজ করি সাড়ে ৯টা থেকে পৌনে একটা পর্যন্ত। পরবর্তী ১৫ মিনিট পত্রিকা ক্লিপিং করি। গোসল, জোহরের নামাজ ও খাওয়ার পর এক ঘণ্টা বিশ্রাম। ৩টা থেকে সোয়া ৫টা পর্যন্ত লেখার কাজ, আসর নামাজের পর ১৫ মিনিট বারান্দায় হাঁটাচলা, ইফতার ও মাগরিবের নামাজ শেষে ডাইরি লেখা, সাড়ে ৯টায় বিছানায় বই পড়া ও নিদ্রা। এ হয়ে দাঁড়িয়েছে আমার জেল জীবনের প্রাত্যহিক রুটিন।
বিছানায় শুয়ে আমি এখন পড়ছি বিক্রম সেথ-এর এ সুইটেবল বয়, যা আগেও আমি পড়েছি। চোখ ভারি হয়ে এলে বাতি নিভিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি।
রবিবার ৭ অক্টোবর ২০০৭ দিন ১৭৮আপিল বিভাগের ভূমিকার কথা স্মরণ করে সারাটা দিন আমার মন বিষণ্নতায় ছেয়ে ছিল। জামিনের বিরুদ্ধে এবং আটকাদেশের অবৈধতার বিপক্ষে দেয়া তাদের সিদ্ধান্তের ফলে হাজার হাজার ভুক্তভোগী দিনের পর দিন বিনাবিচারে কারাগারে অন্তরীণ থাকতে বাধ্য হবে। সুবিচার পাওয়ার সকল পথ অবরুদ্ধ হয়ে গেলে একদিন জনগণ আইন তুলে নেবে নিজেদের হাতে, যার সহিংস ব্যাপকতা একদিন গোটা সমাজব্যবস্থার ওপর সৃষ্টি করবে এক মারাত্মক হুমকি। বিচার বিভাগ কি সেটা অনুধাবন করতে পারছে না?
বিচারকদের এই উগ্রভাব ক্ষমতার উগ্রতার মতোই ভয়ঙ্কর।
সোমবার ৮ অক্টোবর ২০০৭ দিন ১৭৯প্রায় ৯ মাস ধরে এই সামরিক বাহিনী সমর্থিত অসাংবিধানিক সরকার দেশ পরিচালনা করে আসছে। দুর্নীতির অভিযোগে কয়েকশ’ রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা ছাড়া দেশের ১৫ কোটি মানুষের কল্যাণে তারা কী অবদান রেখেছে? জনসাধারণের কেউ কেউ মরছে ক্ষুধার যন্ত্রণায়, বিরাট সংখ্যার জনগণ দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর হতে চলেছে- তাদের ঘরে খাবার নেই, নেই কর্মসংস্থান ও ক্রয়ক্ষমতা, দ্রব্যমূল্য বেড়ে হয়ে যাচ্ছে আকাশচুম্বী, রপ্তানি বাণিজ্যের হার ও পরিমাণ নিম্নগামী, মুদ্রাস্ফীতির হার পৌঁছেছে ১১ শতাংশে, বিদ্যুতের আকাল, বিনিয়োগ হয়ে পড়েছে স্থবির। প্রশাসনে ছড়িয়ে গেছে দুর্নীতির প্রবণতা- কারণ আদালত-সরকারি অফিস-ব্যাংক-থানা পর্যায় থেকে রাজধানী পর্যন্ত সর্বত্র ঘুষের পরিমাণ গেছে বেড়ে।
মঙ্গলবার ৯ অক্টোবর ২০০৭ দিন ১৮০মাগরিবের নামাজের পর বাইরে থেকে আমার ঘরের দরজা আটকে দেওয়ার ঠিক আগের মুহূর্তে আমার সার্বক্ষণিক সহকারী জিয়াউদ্দিন বাকি রাতের জন্য আমার সবকিছু সুন্দর করে গুছিয়ে দেয়। সে ঘর ঝাড় দেয়, বিছানা গুছিয়ে রাখে, টাঙিয়ে দেয় মশারি, কন্টেইনারে ভরে রাখে আমার রাতের খাবার ও পানি, তারপর সাইড টেবিলের ওপর সেগুলো সযত্নে সাজিয়ে রেখে বিরাট সালাম জানিয়ে বের হয়ে যায় নিজের সেলের উদ্দেশ্যে।
অনেকদিন পরে তার জুনিয়রকে নিয়ে ব্যারিস্টার খোকন এসেছে আমার সঙ্গে দেখা করতে। হাইকোর্টের আদেশ অগ্রাহ্য করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আমার দেওয়া অনাদায়ী করের টাকা গ্রহণে যে অসম্মতি জানিয়েছে নিঃসন্দেহে তা আদালত অবমাননার সুস্পষ্ট দৃষ্টান্ত। সেমর্মে একটি আবেদন দাখিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।
নিজেদের নিদারুণ ব্যস্ততার মধ্যেও ব্যারিস্টার খোকন ও ব্যারিস্টার রফিক-উল হক বিনা ফি’তে আমার মামলা পরিচালনা করায় আমি আল্লাহর দরবারে তাদের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই।
সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে আজ শুরু হয়েছে পবিত্র শবেকদরের রাত্র।
বুধবার ১০ অক্টোবর ২০০৭ দিন ১৮১পবিত্র রাতে মানবজাতির জন্য আল্লাহ্ তা’য়ালা পবিত্র কোরআন শরীফ নাযিল করেছেন। এ রাতে আল্লাহর অনুমতি অনুযায়ী জিবরাঈল (আ:) ফেরেস্তাদের সঙ্গে নিয়ে মানবজাতির কল্যাণের জন্য তাদের রুহ’সহ নেমে আসেন পৃথিবীতে। এ রাতের ইবাদতে এক হাজার মাস ইবাদতের সমান সওয়াব হাসিল হয়- যা ৮৩ বছর ৪ মাসের সমপরিমাণ। কোরআনের ‘সুরাতুল কদর’-এ এই বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে।
রাত আড়াইটায় ঘুম থেকে জেগে উঠেছি আমি। আমার বাবার লেখা কোরআন পরিচয় বইয়ে বলা হয়েছে- এ রাতে একবার সূরা ইয়াসীন পাঠ করলে পুরো। কোরআন শরীফ ১০ বার পড়ার সমপরিমাণ সাওয়াব হাসিল হয়। নবী করিম (সা:) বলেছেন- এ রাতে একবার সূরা ইয়াসীন পাঠ করলে পূর্ববর্তী সারা জীবনের গুনাহ মাফ হয়ে যায়। এ কথা স্মরণ করে আমি এ আশায় সূরা ইয়াসীন পড়েছি যে, আল্লাহ্ যেন আমার সকল গুনাহ্ মাফ করে দেন। আমি ফিরে পাবো এক নতুন জীবন, যা শুরু হবে পাপশূন্য অবস্থায়।
আল্লাহর সঙ্গে রাসূল (সা:)-এর সম্পর্কের গুণাবলী, গভীরতা ও মাহাত্ম আমাদের ধারণার বাইরে এক জগৎ। এটা বুঝতে হলে থাকতে হবে নিজ অন্তরের নিষ্কলুষতা, পবিত্রতা, জ্ঞান, বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষমতা ও খোদা প্রদত্ত অলৌকিক রহমত। সেগুলো অর্জন করা সহজ কোনো কাজ নয়। এজন্য দরকার জীবনব্যাপী সাধনা, একাগ্রতা এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের প্রবলতম আশা আর আকাঙ্ক্ষা।
এখনকার দিনে কেবলমাত্র ধর্মীয় উৎসব এবং সরকারি ছুটির দিনগুলোতে বাইরে থেকে খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এই পবিত্র রাতকে উপলক্ষ করে নাফিসা ও তার ছেলে সেই সুদূর উত্তরা থেকে খাবার এনে রেখে গেছে জেলগেটে। সেল-এর অন্যদের সঙ্গে ভাগ করে সেগুলো সবাই মিলে খেলাম।
পরামর্শের জন্য তারেক রহমান এসে দেখা করেছিল আমার সঙ্গে।
বৃহস্পতিবার ১১ অক্টোবর ২০০৭ দিন ১৮২আল্লাহর রাসূল (সা:) শুধু মানবজাতির সবচেয়ে বড় বিপ্লবী সংস্কারক এবং রাষ্ট্রনায়কই নন, তিনি বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবতাবাদী নেতাও বটে। আমাদের দেশের অধিকাংশ নারী-আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত নেতৃরা জানেন না নারী অধিকার। ও নারীমুক্তির জন্য রাসুলুল্লাহ্ (সা:) কী অবদান রেখে গেছেন। আড়াই শত বছর আগে আব্রাহাম লিংকন যা করেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (সা:) চৌদ্দশত বছর আগে। দাস-দাসীদের মুক্তি দিয়ে তারচেয়ে লক্ষগুণ বেশি অবদান রেখে গেছেন। ধৈর্য, সহিষ্ণুতা ও ক্ষমা ছিল রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর অতুলনীয় গুণাবলী যা মানবজাতির জন্য। চির অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।
শুক্রবার ১২ অক্টোবর ২০০৭ দিন ১৮৩কারাবাসের ১৮২ দিন পর আমার স্ত্রীর কাছে একটি চিঠি পাঠাবার সুযোগ পেয়েছি. ব্যারিস্টার খোকন তার ছেলেকে দেখতে যাচ্ছে লন্ডনে। তার কাছে গোপনে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
আজ জুমাতুল বিদা, রমজান মাসের শেষ জুমার দিন। আমি অন্যসব কয়েদির সঙ্গে জেলখানার মসজিদে বিশেষ জুমার নামাজে অংশ নিয়েছি। আগে জেলখানার ভেতর জুমার এমনকি ঈদের জামাতের নামাজও নিষিদ্ধ ছিল, কিন্তু আমি জেল সংস্কারসংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটির চেয়ারম্যান থাকাকালে এক সুপারিশে এ বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
শনিবার ১৩ অক্টোবর ২০০৭ দিন ১৮৪আজ রমজানের শেষদিন। আমি আল্লাহর কাছে সাতশত কোটি জনঅধ্যুষিত গোটা মানবজাতির কল্যাণের জন্য ফরিয়াদ জানাই- প্রার্থনা করি অধঃপতিত মানবগোষ্ঠী, নির্যাতিত ও নিপীড়িত নারী-শিশু-বৃদ্ধ, দরিদ্র মানবকুল, সম্পদহীন অসহায় এতিম, বিকলাঙ্গ ও প্রতিবন্ধী, দিনমজুর ও কর্মহীন জনগোষ্ঠী যারা অতিবাহিত করছে এক মানবেতর জীবন, ক্ষুধাতৃষ্ণায় জর্জরিত অবস্থায় যারা নিঃস্বতার মধ্য দিয়ে বাস করছে। জীর্ণ কুটিরে অথবা ফুটপাতে, গাছের তলায়, প্রবল বন্যাক্রান্ত হয়ে আশ্রয় নিয়েছে। বাঁধে, নৌকা ও ভাসমান কলাগাছের ভেলায়, যাদের দুঃসহ দিন কাটছে কারাগারে, হাসপাতালে এবং রাজনৈতিক রোষের কবলে পড়ে আত্মীয়পরিজনবিহীন, যারা পলাতক তাদের সকলের জন্য। আমি প্রার্থনা করি আমার জীবিত ও মৃত আত্মীয়স্বজন, গুণগ্রাহী, বন্ধুবান্ধব, প্রতিবেশী ও আমার নির্বাচনী এলাকার লোকজনের জন্য। সবশেষে আমি প্রার্থনা করি আমার পরলোকগত পিতা-মাতা ও পুত্র আসিফ এবং আমার স্ত্রী হাসনা ও আমাদের সন্তান আমান ও আনার জন্য।
(চলবে..)
আরো পড়ুন-
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১)মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৩) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৪) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৫) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৬) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৭)মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৮) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৯) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১০) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১১) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১২) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৩) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৪) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৫) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৬) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৭) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৮) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৯)মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২০) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২১) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২২)মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২৩)মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২৪)মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২৫) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২৬) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২৭) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২৮) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২৯) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৩০) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৩১)মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৩২) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৩৩) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৩৪) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৩৫) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৩৬) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৩৭)মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৩৮)মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৩৯) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৪০) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৪১) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৪২) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৪৩) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৪৪)