করোনা রোগী স্থানান্তরের জন্য এক লাখ ৪০ হাজার রুপি দাবি করার কারণে ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে একজন ডাক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্ত চিকিৎসক মিমোহ কুমার বুন্ডওয়াল ওই এম্বুলেন্সের মালিক। গুরগাঁও থেকে একজন করোনা রোগীকে লুধিয়ানা নিতে এই অর্থ দাবি করা হয়। অভিযুক্ত চিকিৎসক মিমোহ কুমার বুন্ডওয়ালের বাড়ি ইন্দারপুরীর দশগারা গ্রামে। আক্রান্ত রোগীর পরিবারের সদস্যরা লুধিয়ানাতে সাংবাদিকদের বলেছেন, তারা রোগী পরিবহনে কোনো মাধ্যম না পেয়ে দিল্লিভিত্তিক একটি অপারেটরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারা দাবি করেন ওই এম্বুলেন্স সার্ভিস থেকে এ জন্য তাদের কাছে দাবি করা হয় এক লাখ ৪০ হাজার রুপি। এ নিয়ে দরকষাকষি চলতে থাকে। রোগীর পরিবার থেকে বলা হয়, তাদের সঙ্গে অক্সিজেন আছে।
ফলে ভাড়াটা একটু কমাতে হবে। একথা শুনে এম্বুলেন্স মালিক প্রাথমিক অবস্থান থেকে ২০ হাজার রুপি কমিয়ে দিতে রাজি হন। চুক্তি অনুযায়ী ৯৫ হাজার রুপি আগাম দেয়া হয়। বাকি ২৫ হাজার রুপি লুধিয়ানা পৌঁছার পর দেয়ার কথা বলা হয়। রোগীর মেয়ে এসব অভিযোগ করেছেন। বৃহস্পতিবার দিল্লি পুলিশের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, তারা খবর পেয়েছেন যে, কার্ডিয়াকেয়ার এম্বুলেন্স প্রাইভেট লিমিটেড নামে দশগারা গ্রামের এই প্রতিষ্ঠানটি এম্বুলেন্স সার্ভিস দিয়ে থাকে। একই সঙ্গে তারা করোনা রোগী বহন করে প্রকৃত ভাড়ার চেয়ে দুই থেকে তিনগুন অর্থ লুটে নিচ্ছে। উপপুলিশ কমিশনার উরভিজা গোয়েল বলেছেন, তদন্তকালে চিকিৎসক মিমোহ কুমার বুন্ডওয়ালের খবর পায় পুলিশ। পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ইন্দারপুরী পুলিশ স্টেশনের মামলা করা হয়েছে। অভিযুক্ত চিকিৎসক মিমোহ কুমার বুন্ডওয়াল একজন এমবিবিএিস ডাক্তার। গত দু’বছর ধরে তিনি এম্বুলেন্স ব্যবসা করে আসছেন।