মাগুরায় চলতি মৌসুমে গমের বাম্পার ফলন হয়েছে। আসছে ঈদ আর গমের ফলনে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। তবে গমের ন্যায্যমূল্য নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে চাষিরা। মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, এ বছর মাগুরা জেলার চার উপজেলায় ৪৬৯৫ হেক্টর জমিতে গমের আবাদ হয়েছে। তার মধ্যে মাগুরা সদর ১৫২০ হেক্টর, শ্রীপুর উপজেলায় ১৬৯০ হেক্টর, শালিখা উপজেলায় ১২০০ হেক্টর এবং মহম্মদপুর উপজেলায় ২৮৫ হেক্টর জমিতে গমের চাষ হয়েছে। কৃষি বিভাগ বলছে, গত বছর মাগুরা জেলায় মোট আবাদি জমির পরিমাণ ছিল ৪৬৯০ হেক্টর এবং উৎপাদনের যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিলো তার থেকে বেশি ফলন পেয়েছে চাষিরা। মাগুরা সদর উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের গম চাষি ইকলাস বিশ্বাস জানান, গম চাষে এক থেকে দুইটা সেচ দিলেই হয়ে যায় এবং সারের পরিমাণও খুব কম লাগে, ফলনও ভালো পাওয়া যায়। বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের গম চাষি মোতাহের মোল্যা বলেন, গম চাষ একেবারেই সহজ।
গম বপনের পরে দুই একটা সেচ দেয়ার পরেই গম বড় হয়ে যায়। এ চাষে লাভ বেশি, খরচ কম। মাগুরা সদর উপজেলার গম চাষি মন্নু মাস্টার জানান, গম চাষে অল্প খরচে অধিক লাভবান হওয়া যায়।
সরজমিন মাঠে গিয়ে দেখা যায়, গম কাটার জন্য অটো মেশিনে মাঠেই মাড়াই চলছে। চাষিরা আরো জানান, এখন আমরা খুব সহজেই মাঠ পর্যায়ে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এর সুফল ভোগ করছি। মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সুশান্ত কুমার প্রামাণিক জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার রোগ পোকা মাকড়ের আক্রমণ কম হয়েছে। যার কারণে গমে এবার মাগুরা জেলায় বাম্পার ফলন হয়েছে। বিশেষ করে বারি গম-৩৩ এবার ভালো ফলন হয়েছে বিঘাতে প্রায় ১৬ মণ পর্যন্ত।
তাছাড়া আমাদের গমের রোগ নিয়ে যে ব্লাস্টটা ছিল সেটা আমরা দূর করতে পেরেছি বারি গম-৩৩ আসার পরে। আমরা চাষিদের নানা ভাবে প্রশিক্ষণ ও কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছি। এবার জেলাতে ভালো ফলন হয়েছে। চাষিরা এখন একটু দাম কম পাচ্ছে। মণপ্রতি তারা ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা দরে গম বিক্রি করতে পারছেন। আশা করি ফলন ভালো হয়েছে। যার কারণে তাদের এ দামে কোনো প্রকার ক্ষতি হবে না।