× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সাপাহারে আনন্দ-নিরানন্দে জমে উঠেছে ঈদ বাজার

বাংলারজমিন

মনিরুল ইসলাম, সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি
৯ মে ২০২১, রবিবার

মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতরের আরো কয়েকদিন বাকি থাকলেও নওগাঁর সাপাহারে আনন্দ-নিরানন্দে জমে উঠেছে ঈদের বাজার। বিভিন্ন দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে করোনাকালীন সময়ে স্বল্পমূল্যে কেনাকাটা করতে সরকারি মার্কেট কাপড়ের শেডগুলোতে ব্যাপক ভীড় করছেন ক্রেতারা। এছাড়াও বিভিন্ন মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত কেনাকাটা লক্ষ্য করা গেছে।
গতকাল উপজেলা সদরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স মার্কেট, নিউ মার্কেট, লাবনী সুপার মার্কেটগুলোতে ঘুরে দেখা যায়, সব শ্রেণীর মানুষ নিজেকে সাজিয়ে ঈদ আনন্দ উদযাপন করার জন্য সামর্থ্য অনুযায়ী কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কেউ কিনছেন নিজের জন্য আবার কেউবা আত্মীয়-স্বজন বা প্রিয়জনের জন্য। এবারের ঈদের কেনাকাটায় মার্কেটগুলোতে মেয়েদের উপস্থিতি বেশি লক্ষ্য করা গেছে।
চলতি ঈদ বাজারে দোকানগুলো সাজিয়েছে বাহারি কাপড়-চোপড়সহ চোখ ধাঁধানো সব আকর্ষণীয় সংগ্রহে। যাতে করে ক্রেতাদের চোখে পড়ে এসব বাহারি সংগ্রহ।
এসব সংগ্রহের মধ্যে রয়েছে মেয়ে ও ছেলেদের আধুনিক সজ্জার দেশি-বিদেশি সব সমাহার। বিশেষ করে তরুণ-তরুণী ও বাচ্চাদের নানাবিধ সব সংগ্রহ শোভা পাচ্ছে দোকানগুলোতে।
একাধিক দোকানদারের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, গত বছরে ঈদে করোনা ও লকডাউনের জন্য দোকান পুরোপুরি বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। এ বছর করোনার প্রভাব থাকার পরেও লকডাউন শিথিল থাকায় বেচা-কেনা মোটামোটি ভালো। আশানুরূপ বেচা-কেনা করতে পারছেন বলে জানান আরো অনেকে।
নিউ মার্কেটে কেনা-কাটা করতে আসা কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, চলতি মৌসুমে যথাসয়ে ধান ওঠার ফলে এবং ভালো দাম পাওয়ায় ঈদের বাজার করতে অনেকটা স্বস্তি পাচ্ছেন তারা।
সরকারি মার্কেটে শপিং করতে আসা ক্রেতাদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, লকডাউনে অনেকটাই কর্মহীন হয়ে পড়ায় অনেকটা অসচ্ছলতার সঙ্গে সময় পার করতে হচ্ছে। কিন্তু ছেলে মেয়েদের নতুন জামা-কাপড় কিনে দিতে হবে। না হলে তারা মন খারাপ করবে। এজন্য বাড়ির কিছু গৃহপালিত পশু বা গচ্ছিত টাকা পয়সা দিয়ে তাদের বাজার থেকে নতুন জামা-কাপড় কিনে দিচ্ছি।
শুধু কাপড়ের দোকানে নয় বরং কসমেটিক্স, জুতা ও মুদি দোকানগুলোতেও সেমাই-চিনিসহ ক্রেতারা ভিড় করছেন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটার জন্য।
সব মিলিয়ে বৈশ্বিক মহামারি করোনাকালীন এ বছরের ঈদ আনন্দ নিরানন্দ মিশ্রিত কাটবে বলে জানান অনেকেই।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর