কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় সিংগুয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে দুই বালু ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে এ জরিমানা আদায় করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম লুৎফর রহমান। এ সময় বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত ২১টি পাইপসহ দুটি শ্যালো ইঞ্জিন চালিত ড্রেজার মেশিন জব্দ করা হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত দুই বালু ব্যবসায়ী হলেন- উপজেলার পাবদা গ্রামের চান মিয়ার ছেলে আদম আলী (৫০) ও একই গ্রামের হাদিউল ইসলামের ছেলে ইয়াছিন মিয়া (৩৫)।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, পাকুন্দিয়া উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া সিংগুয়া নদী থেকে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে প্রভাবশালী একটি চক্র। খবর পেয়ে গতকাল বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম লুৎফর রহমান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত ২১টি পাইপসহ স্থানীয়ভাবে তৈরি শ্যালো ইঞ্জিন চালিত দুটি ড্রেজার মেশিন জব্দ করা হয়। এছাড়াও অবৈধভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলনের দায়ে পাবদা গ্রামের আদম আলী ও ইয়াছিন মিয়া নামের দুই বালু ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। অভিযানকালে পাকুন্দিয়া থানাধীন আহুতিয়া তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহীনসহ একদল পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অ.দা.) একেএম লুৎফর রহমান বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১৫ এর ১৫(১) ধারায় দুই ব্যক্তির কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়াও বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত ২১টি প্লাস্টিকের পাইপ ও দুটি শ্যালো ইঞ্জিন চালিত ছোট ড্রেজার মেশিন জব্দ করা হয়।