দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-রুটে দিনে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে এ সেতু পার হয়ে মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল ও ট্রাকে গাদাগাদি করে বাড়ি ফিরছেন মানুষ। এতে কোথাও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে সেতু কর্তৃপক্ষ বলছেন রাতে পণ্যবাহী ট্রাকের চাপ বেশি। ঈদের আগে আরো বারার সম্ভাবনা রয়েছে। বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পার কড্ডার মোড় এলাকায় ঢাকা থেকে কুষ্টিয়াগামী ট্রাকচালক জিয়াউল হক জানায়, দৌলতদিয়া নৌ-রুটে অনেক যানজট। ঠিকমত ফেরি চলছে না। রাতে অনেক ভিড় তাই বাধ্য হয়ে এই সেতুর উপর দিয়ে যাচ্ছি। এতে আমার অনেক ঘুরে যেতে হচ্ছে। যাত্রীবাহী মাইক্রোবাস চালক আরিফ হোসেন জানান, আমি যশোরে যাবো কিন্তু দৌলতদিয়া-পাটুরিয়াতে পার হতে দিচ্ছে না তাই এই রোড দিয়ে যাচ্ছি। এখান দিয়ে যেতে আমাদের অনেক পথ ঘুরে যেতে হচ্ছে। কিন্তু কি করবো বলেন বাধ্য হয়ে আমাদের চলতে হচ্ছে। আর বাস বন্ধ থাকায় আমাদের এই মাইক্রোবাসে এখন যাত্রীর চাপ অনেক বেশি। বঙ্গবন্ধু সেতুর উপ-সহকারী প্রকৌশলী শাহিন রেজা মানবজমিনকে জানান, গত দুই দিন সেতুর উপর যান চলাচল অনেকটাই বেড়ে গেছে। ঈদের আগে আরো বাড়বে। তবে দৌলতদিয়া নৌ-রুট স্বাভাবিক হলে এই চাপ অনেটাই কমে যাবে। বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোসাদ্দেক হোসেন মানবজমিনকে জানান, মহাসড়কে যানবাহনের চাপ কিছুটা বেড়েছে। যাত্রীবাহী কোনো যানবাহন চলতে দেয়া হচ্ছে না । তবে মানুষ প্রাইভেটকার ও মাইক্রেবাসে করে বাড়ি ফিরছে ও যাতায়াত করছে। অন্যদিকে পণ্যবাহী ট্রাক ঢাকাতে পণ্য খালাসের পর সেই ট্রাকে গাদাগাদি করে লোক ফিরছে। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে মহাসড়কে চাপ বেড়েই চলছে।