জেলার বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর (কাঠালতলী) ইউপি কার্যালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি। শুক্রবার বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়। উপজেলা প্রশাসনের ৩ সদস্যের ওই তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) নূসরাত লায়লা নীরা। অন্য দুই সদস্য হলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. উবায়েদ উল্লাহ খান ও ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার অনুপ কুমার সিংহ। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে বৈদ্যুতিক ত্রুটি, বিড়ি, সিগারেটের জ্বলন্ত অবশিষ্টাংশ এবং বজ্রপাতের কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়নি। কি কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল তার সুস্পষ্ট কারণ তদন্ত কমিটি নিশ্চিত হতে পারেনি। ফরেনসিক ও অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের পুনরায় অধিকতর তদন্তে আগুনের সুস্পষ্ট কারণ নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক সহকারী কমিশনার (ভূমি) নূসরাত লায়লা নীরা প্রতিবেদন জমা দেয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম আল ইমরান জানান প্রতিবেদনের আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য ২৫শে এপ্রিল সকালের দিকে বড়লেখার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় ভবনে রহস্যজনক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আগেই ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের সেমিপাকা ৫টি কক্ষ পুড়ে যায়। আগুনে চেয়ারম্যানের কক্ষ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, ডিজিটাল সেন্টার ও গ্রাম আদালতের কক্ষসহ পাঁচটি কক্ষের পাশাপাশি ইউনিয়নের ৫টি কম্পিউটার এবং গুরুত্বপূর্ণ সকল নথি ভস্মীভূত হয়। ওইদিনই বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম আল ইমরান ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটিকে দায়িত্ব দেন। কমিটিকে ৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। ওই ঘটনায় জেলা প্রশাসন থেকেও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক তানিয়া সুলতানাকে আহ্বায়ক এবং জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (স্থানীয় সরকার শাখা) মো. রুহুল আমীনকে সদস্য সচিব করে ৭ সদস্যবিশিষ্ট পৃথক আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে ওই কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।