× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

একদিনে ১৪১ পদে নিয়োগ- /তদন্ত কমিটিকে যা বললেন রাবি’র বিদায়ী ভিসি

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী থেকে
(২ বছর আগে) মে ৮, ২০২১, শনিবার, ৯:২৯ অপরাহ্ন

রাজশাহী বিশ্ববিদালয়ে বিতর্কিত ১৪১ পদে এডহকের নিয়োগের বিষয়ে সদ্য বিদায়ী ভিসি অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহান বলেছেন, আমি মনে করি যারা নিয়োগ পেয়েছে তারা সবাই নিয়োগ ডিজার্ভ করে। এখানে মানবিক দিকটি বিবেচনা করা হয়েছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৭৩ এর অধ্যাদেশে একটা আইন আছে। সেই আইনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে একটা ক্ষমতা দেয়া আছে। সেই আইনের বলে আমি নিয়োগটা দিয়েছি। যেখানে সুস্পষ্ট আইন আছে সেখানে নিষেধাজ্ঞা আসতে হলে তো ওই আইনটা বাতিল হওয়া উচিত। শনিবার বিকাল ৩টায় উপাচার্যের কার্যালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত তদন্ত টিমের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
তদন্ত কমিটির সঙ্গে প্রায় দুই ঘন্টা বৈঠক শেষে ভিসি বলেন, দীর্ঘদিন থেকে ক্যাম্পাসে কোনো নিয়োগ হয়নি।
আমরা নিয়োগ প্রক্রিয়াটা অনেক আগেই শুরু করেছিলাম। কিন্তু এর মধ্যেই করোনাভাইরাস আসলো। এরই মধ্যে কিছু শিক্ষক বলে যে নিয়োগ দেয়া যাবে না, নিষেধাজ্ঞা আসবে। এরপরেই আমার ই-মেইলে নিষেধাজ্ঞাটি আসে। আমি বিষ্মিত হয়েছি, সেই শিক্ষকরা আগে থেকেই নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি কি করে জানলো?
এদিকে শনিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহানের দেয়া ‘অবৈধ’ নিয়োগে নিয়োগপ্রাপ্তদের যোগদান স্থগিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বুধবার (৫ই মে) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এডহকে যে নিয়োগ দেয়া হয়েছে তা শিক্ষা মন্ত্রণালয় অবৈধ ঘোষণা করেছে। একইসঙ্গে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে মন্ত্রণালয় কর্তৃক একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির রিপোর্টের প্রেক্ষিতে কোনোরূপ সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগপত্রের যোগদান এবং তদসংশ্লিষ্ট সব কার্যক্রম স্থগিত করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে এসেছি যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারি। তিনি বলেন, মন্ত্রণালয় যেভাবে বলেছে আমরা সেভাবে কাজ করছি। আমরা এই বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গেই কথা বলেছি। আমরা সকল তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছি, সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র দেখেছি। আমরা সেসব কাগজপত্র পর্যালোচনা করে আমাদের প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেবো। আমরা চাই যে উদ্দেশ্য নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যাল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেই উদ্দেশ্য যেন সফল হয়।
উল্লেখ্য, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও গত বুধবার (৬ই মে) ক্যাম্পাসে মেয়াদের শেষ দিন শিক্ষকসহ ১৪১ জনকে বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেন রাবি’র বিদায়ী এই উপাচার্য। সেই নিয়োগকে অবৈধ ঘোষণা করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর