× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মানবিক ভিসি!

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(২ বছর আগে) মে ৯, ২০২১, রবিবার, ১১:৩০ পূর্বাহ্ন

মানবিক কথাটা আজকাল খুব শোনা যায়। বিশেষ করে ফেসবুকে অনেকেই এই শব্দ ব্যবহার করছেন। ‘মানবিক বিয়ের’ পর সম্ভবত সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য বিদায়ী ভিসি অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের ‘মানবিক নিয়োগ’ নিয়ে। শেষ কর্মদিবসে ১৪১ জনকে নিয়োগ দিয়ে তিনি এখন রীতিমতো আলোচনার শীর্ষে।

একটা সময় ছিল শিক্ষকদের বিদায়ের দিনে পুরো প্রতিষ্ঠান থাকতো বিষণ্ন। চোখের পানিতে প্রিয় শিক্ষককে বিদায় জানাতেন শিক্ষার্থীরা। দিন অবশ্য এখন অনেকটাই বদলে গেছে। রীতিমতো পুলিশ পাহারায় ক্যাম্পাস ছাড়তে হচ্ছে হেভিওয়েট শিক্ষকদের। অবশ্য গত কয়েক বছরের ভিসিদের রেকর্ড দেখলে তাতে খুব বড় কোনো চমক নেই।
কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিরা সম্ভবত এখন অন্যতম প্রধান আলোচিত চরিত্র। বারবার তারা শিরোনামে আসেন। ছাত্র নেতাদের সঙ্গে ঘুষ লেনদেনে নাম ওঠে কারো। কেউবা বছরের পর বছর ক্যাম্পাসে না গিয়েও ভিসির দায়িত্ব পালন করেন। কেউ কেউ বলছেন, তারা ডিজিটাল পীর। তাদের কর্মক্ষেত্রে যেতে হয় না। ছাত্র রাজনীতি থেকে যেন শিক্ষক রাজনীতিতেই এখন বেশি ভুগছে ক্যাম্পাস। আহমদ ছফার গাভী বৃত্তান্ত স্মরণ করছেন বহু মানুষ।

মানবিক ভিসির কথায় ফিরে আসি। শেষ কর্মদিবসে বড় নিয়োগের পক্ষে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান। বলেছেন,  যারা ডিজার্ভ করে তারাই নিয়োগ পেয়েছে। তাদের প্রত্যেকেই অনার্স-মাস্টার্স পাস এবং আওয়ামী পরিবারের সন্তান। দীর্ঘদিন ধরে তাদের জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়ে যাচ্ছিল। তাই আমি মানবিক কারণে ছাত্রলীগকে চাকরি দিয়েছি। যদিও তার এই দাবির সঙ্গে একমত নয় খোদ ক্ষমতাসীন বিভিন্ন মহলও। এরইমধ্যে এ নিয়োগ স্থগিত করা হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে মন্ত্রণালয়। অনেকেই বলছেন, এটি কোনো মানবিক গল্প নয়।

প্রশ্ন হচ্ছে, ভিসিরা কেন বারবার বিতর্কে জড়াচ্ছেন? বিতর্কিত ভিসিদের বিরুদ্ধে সেভাবে কেন ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয় না? পর্যবেক্ষকরা বলছেন, পুরো বিষয়টিই রাজনৈতিক। ক্ষমতার নানা মহলে যাতায়াত রয়েছে তাদের। তারা নিজেরাও ক্ষমতার রাজনীতিতে যুক্ত। যে কারণে ভিসিদের নিয়ে কথা হয় অনেক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্যবস্থা নেয়া হয় সামান্যই।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর