দুই ম্যাচ পর জয়ে ফিরলো লিভারপুল। শনিবার অ্যানফিল্ডে সাউদাম্পটনকে ২-০ গোলে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। সাদিও মানে ও থিয়াগো আলকান্তারার গোলে পয়েন্ট টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে উঠে এলো অল রেডরা।
ইয়ুর্গেন ক্লপের দলের শিরোপা স্বপ্ন মাটি হয়েছে অনেক আগেই। লক্ষ্য এবার আগামী চ্যাম্পিয়নস লীগে জায়গা করে নেয়া। দুই ম্যাচ ড্র করার পর অবশেষে ম্যাচ জিতে ইউসিএলের নয়া মৌসুমে যাওয়ার আশা আবার জিইয়ে উঠেছে ক্লপের শিষ্যদের। গত দুই রাউন্ডে নিউক্যাসল ইউনাইটেড ও লিডস ইউনাইটেডের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছিল লিভারপুল।
গোটা মৌসুমে বাজে খেলার খেসারত দিতে হবে, সেটা ক্লপের অজানা নয়। বাকি চারটি ম্যাচে জয় না পেলে আগামী ইউরোপ সেরার মঞ্চে পা রাখা অনিশ্চিত হয়ে যাবে লিভারপুলের। ক্লপ বলেন, ‘আমি জানি না (আগামী মৌসুমে দল ইউসিএলে জায়গা পাবে কী না), তবে আমাদের জিততেই হবে। আমরা যদি বাকি চার ম্যাচ জিতি, তাহলে হয়সো সেটি সম্ভব।’
এদিন শুরু থেকে একের পর এক আক্রমণ করেও প্রতিপক্ষের বাধা অতিক্রম করতে পারছিল না গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।
কাছ থেকে মোহাম্মদ সালাহ’র শট ফিরিয়ে দেয়ার পর দিয়েগো জোতার শটও প্রতিহত করেন ফ্রেজার ফর্স্টার।
২৫তম মিনিটে কর্নারে জর্জিনিয়ো ভেইনালডামের হেড ক্রসবারে লেগে ফেরত আসে। খানিক বাদেই আক্রমণে যায় সাউদাম্পটন। চে অ্যাডামসের শট এগিয়ে এসে ঠেকিয়ে দেন আলিসন। ৩১তম মিনিটে সাদিও মানের গোলে এগিয়ে যায় লিভারপুল। সালাহ’র ক্রস পেয়ে হেডে গোল করেন সেনেগালের এই স্ট্রাইকার।
বিরতি থেকে ফিরে কোনও দলই উল্লেখযোগ্য কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। ৮১তম মিনিটে সাদিও মানের গোল অফসাইডের ফাঁদে পড়ে বাতিল হয়। নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে জয় নিশ্চিত করেন থিয়াগো আলকান্তারা।
৩৪ ম্যাচে ১৬ জয় ও ৯ ড্রয়ে লিভারপুলের পয়েন্ট ৫৭। ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে ১৬তম স্থানে সাউদাম্পটন।