× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘কষ্ট যতই হোক পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতেই হবে’

অনলাইন

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
(২ বছর আগে) মে ৯, ২০২১, রবিবার, ৩:১৮ অপরাহ্ন

ছোট ছোট দুই সন্তান নিয়ে গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া যাচ্ছেন সালেহা বেগম। স্বামী গাজীপুরের একটি গার্মেন্টে চাকরি করেন। সেখানেই বাসা ভাড়া করে বসবাস করতেন তারা। ঈদের আগে গার্মেন্ট ছুটি হলেও স্বামীর বাড়ি ফেরা অনিশ্চিত হওয়ায় দুই সন্তানকে নিয়ে রওনা দিয়েছেন তিনি। সাহরি খেয়ে রওনা হলেও কয়েক দফা গাড়ি পাল্টিয়ে বেলা ১০টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পাড় এসে পৌঁছেছেন।

তিনি জানান, স্বামীর গার্মেন্ট ছুটি হলে ওই সময় চাপ বেশি থাকবে। আমাদের নিয়ে আসা অনেক কষ্ট হবে এই ভেবে আগেই পাঠিয়ে দিয়েছেন। ৫ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পাড় আসলাম।
এখন মোটরসাইকেলে ৪০০ টাকা দিয়ে সেতু পাড় হয়ে পশ্চিম পাড় গিয়ে। ভেঙে ভেঙে বাড়ি। সন্তান নিয়ে যাওয়া অনেক কষ্ট হচ্ছে। কষ্ট যতই হোক বাড়িতে পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদ করতেই হবে এটাই তার বড় পাওয়া।

শুধু সালেহা নয়, তার মতো আসাদুল ইসলাম, রহিজ উদ্দিন, আব্দুল কুদ্দুসসহ উত্তরাঞ্চলগামী হাজারো মানুষ করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পাড়ে। উদ্দেশ্য বাড়িতে পরিবার পরিজনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করা। তাই যে যেভাবে পারছেন বাড়ি যাচ্ছেন।

এদিকে যার যার কর্মস্থলে থেকে ঈদ করার কথা থাকলেও ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক দিয়ে নানা পন্থায় কয়েকগুণ বেশি ভাড়ায় বাড়ি ফিরছেন মানুষ। দূরপাল্লার যানবাহন চলাচলে বিধিনিষেধ থাকায় খোলা ট্রাক, পণ্যবাহী ট্রাক, মোটরসাইকেলসহ ব্যক্তিগত ছোট ছোট যানবাহনে গাদাগাদি করে বঙ্গবন্ধু সেতু পার হচ্ছেন তারা। কোথাও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। এতে করে বেড়ে যাচ্ছে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি।

যাত্রীরা জানান, পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদ করাই তাদের মুখ্য বিষয়। যদিও আন্তঃজেলা পরিবহণ বন্ধ থাকায় ভোগান্তি ও ঝুঁকি দুটোই বাড়ছে বলে মত তাদের।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় জানান, মহাসড়কের ৫৪টি জায়গায় পুলিশের চেকপোস্ট রয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মানাতে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর