চিরচেনা পাটুরিয়া ঘাট সকাল থেকেই ফাঁকা। কিছু কিছু যাত্রীর দৌড়ঝাঁপ দেখা গেলেও রোববার প্রাইভেটকার আর মাইক্রোবাসের আগের সেই লম্বা লাইন দেখা যায়নি। শুধুমাত্র লাশবাহী গাড়ি, এম্বুলেন্স আর অতি জরুরি পণ্যবাহী পরিবহনের সঙ্গে কিছু কিছু যাত্রী ফেরি পার হচ্ছেন। আর পাটুরিয়া ঘাট ফাঁকা হওয়ার মূল কারণ বিজিবি। ঘাটে গাড়ি কিংবা যাত্রী ঢোকার আগেই শিবালয়ের টেপড়ায় বিজিবি জওয়ানরা চেক পোস্ট বসিয়ে যানবাহনগুলোকে আটকে দিচ্ছে। তাদের ব্যারিকেড ভেঙে ঘাট পর্যন্ত কোনো গাড়ি যেতে পারছে না।
সকাল থেকে মহাসড়ক ও পাটুরিয়া ঘাট ঘুরে দেখা গেছে, ভিন্ন এক দৃশ্য। ঈদের আগে যেখানে পাটুরিয়া ঘাটটি যানবাহন আর মানুষের চাপে ভরপুর থাকে সেখানে কার্যত সুনসান নীরবতা।
সকালে প্রাইভেটকার আর মানুষের কিছুটা চাপ দেখা গেলেও বেলা ১০টার পর ঘাট ফাঁকা হয়ে যায়। শুধুমাত্র দুটি ছোট ফেরি দিয়ে এম্বুলেন্স, লাশবাহী গাড়ি ও অতি জরুরি পরিবহন আর কিছু কিছু যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে।
এ ছাড়া, পাটুরিয়া ঘাট থেকে ৮ কিলোমিটার পেছনে মহাসড়কের টেপড়া এলাকায় বসানো হয়েছে বিজিবি’র চেকপোস্ট। পাটুরিয়া ও আরিচা ঘাটমুখী কোনো যানবাহন ও যাত্রীদেরকে তারা যেতে দিচ্ছে না। উল্টো পথে ঘুরিয়ে দিচ্ছে ওইসব ছোট গাড়ি অর্থাৎ প্রাইভেটকার, মাইক্রো সহ অন্যান্য পরিবহনগুলোকে। চেক পোস্টের আওতামুক্ত থাকছে লাশবাহী গাড়ি, এম্বুলেন্স ও জরুরি পরিবহনগুলো।
বিআইডব্লিউটিসির ভারপ্রাপ্ত ডিজিএম জিল্লুর রহমান বলেন, সকাল থেকে পাটুরিয়া- দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে দুটি ফেরি দিয়ে শুধুমাত্র লাশবাহী গাড়ি, এম্বুলেন্স ও জরুরি পণ্যবাহী পরিবহন এবং ঘাটে বিভিন্ন পন্থায় আসা যাত্রীদের পার করা হচ্ছে। বিজিবি’র সদস্যরা মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহনগুলো আটকে দেয়ার কারণেই পাটুরিয়া ঘাট একেবারেই স্বাভাবিক এবং ফাঁকা।