× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স / ড্রাইভারের কাণ্ড

বাংলারজমিন

মো. আরিফুল হক রুবেল, পুঠিয়া (রাজশাহী) থেকে
১০ মে ২০২১, সোমবার

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার ড্রাইভার আরমান আলীর দাপটে অসহায় পুরো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। তিনি সরকারি সকল সুুবিধা ভোগের পাশাপাশি করছেন বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি। যা দেখার কেউ নেই। এ নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহী জেলার দুর্গাপুর উপজেলায় আরমান আলীর বাড়ি। তিনি আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে কাজ করতেন দপ্তরটির অন্য পদে। সেখান থেকে প্রভাব খাটিয়ে তিনি ড্রাইভারের পদটি বাগিয়ে নেন সুকৌশলে। হাসপাতালের পরিসংখ্যান বিভাগের আমিনুল ইসলামের নামে বরাদ্দকৃত সরকারি মোটরসাইকেল আরমান আলী একাই ব্যবহার করেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মহিলা ভবনে স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন।
নিজের খরচ বাঁচাতে তার স্ত্রী প্রায় প্রতিদিনই রোগী হিসেবে ভর্তি থাকেন। হাসপাতালের খাবারগুলো রোগীদের জন্য বরাদ্দ থাকায় সরকারি খাবার ও ওষুধপত্র কৌশলে ভোগ করেন। এভাবে প্রায় প্রতিদিন সরকারি খাবার ও ওষুধপত্র অতিরিক্ত চলে যাচ্ছে। এ বিষয়ে ড্রাইভার আরমান আলী জানান, আমি ৩ বছর আগে আউট সোর্সিং হিসাবে চাকরিতে যোগ দেই। প্রথমে আমি হাসপাতালের বহিঃবিভাগে টিকিট কাউন্টারে কাজ শুরু করি। তারপর সরকারি গাড়ি আসলে আমি ড্রাইভার হিসাবে কাজ শুরু করি। স্যার আমাকে সরকারি বাসভবনে থাকার অনুমতি দিয়েছেন, তাই পরিবারসহ থাকি। লকডাউনের মধ্যে স্যারকে রাজশাহীতে নিয়ে যেতে হয়। সেজন্য মোটরসাইকেল দিয়েছিলেন, সেটা ব্যবহার করতাম। আমার বাড়ি দুর্গাপুর, আমার স্ত্রী যখন না থাকে তখন মেডিকেলে ভর্তি থেকে খাবারটা খাই। পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. আব্দুর রাজ্জাক জানান, আমি রাজশাহীতে বাসায় আছি। আর একজন আউট সোর্সিং ড্রাইভারের আবাসিক ভবন, সরকারি মোটরসাইকেল ব্যবহারের নিয়ম আছে কিনা আমার জানা নেই। এ বিষয়ে রাজশাহীর ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. রাজিউল হক বলেন, আউট সোর্সিংয়ে চাকরি করে এরকম সুযোগ-সুবিধা ভোগ করাসহ রোগীর ওয়ার্ডে ভর্তি দেখিয়ে খাবার খাওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর