× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সরাইলে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বিক্রি ৩ ইউপি ভূমি কর্মকর্তা বরখাস্ত

বাংলারজমিন

সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
১০ মে ২০২১, সোমবার

সরাইলে মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর ঘর দেড় লাখ টাকায় বিক্রির অভিযোগে সরাইলে ৩ ইউপি ভূমি কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন জেলা প্রশাসক। প্রথম ধাপে শাহজাদাপুরে ৯০ নম্বর ঘরটি বরাদ্দ আব্দুল হাশিম নামের এক ব্যক্তির। হাশিম ও তার স্ত্রী সেলিনা বেগমের যৌথ নামে দলিল করে দেন উপজেলা ভূমি অফিস। গোলাম মোস্তফার ছেলে হাশিমের বাড়ি শাহজাদাপুর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে অরূয়াইল ইউনিয়নের রাণীদিয়া গ্রামে। নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় সূত্র জানায়, হাশিমকে ঘুমে রেখেই তেলিকান্দি ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুছ ও শাহজাদাপুর ইউনিয়নের মলাইশ ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা হারুন মিয়া ওই ঘর দুই লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন বিধবা বৃদ্ধা সাফিয়া বেগম তার স্বামী পরিত্যক্তা মেয়ে রুনার কাছে। কুদ্দুছ বায়না বাবদ তাদের কাছ থেকে ১ লাখ টাকা গ্রহণ করেন। কিছুদিন পূর্বে হারুন মিয়া ও কুদ্দুছ শাহজাদাপুরে গিয়ে তাদেরকে ঘরের দখল বুঝিয়ে দিয়ে নেন আরো ৫০ হাজার টাকা এবং গত বৃহস্পতিবারে বাকি ৫০ হাজার টাকা দেয়ার কথা ছিল ওই দুই কর্মকর্তাকে। টাকা দিলে হাশিম মিয়ার নাম বদলিয়ে নতুন সাফিয়াদের নামে ঘরের দলিল করে দেয়ার কথা ছিল।
ইউপি ভূমি কর্মকর্তারা সেই দিন দলিল করে দিতে পারেননি। তাই সাফিয়া বাকি ৫০ হাজার টাকা দেননি। পরে ৩ ভূমি কর্মকর্তার সঙ্গে সাফিয়া বেগম ও তার মেয়ে রুনার বাকবিতণ্ডা হয়। অতঃপর গত শনিবার বিকালে নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে গিয়ে ইউএনও’র কাছে এ বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী মা মেয়ে। সদর ইউনিয়নের হাবলীপাড়া এলাকার আব্দুর রশিদের স্ত্রী সাফিয়া বেগম বলেন, রাণীদিয়ার বাসিন্দা শাহজাদাপুর আসবেন না বলে ৩ ইউপি ভূমি কর্মকর্তা আমাকে বুঝিয়েছেন। তারা বলেছেন ১০ লাখ টাকা সম্পদ মাত্র দুই লাখ টাকায় আমাকে দয়া করে দিচ্ছেন। দলিলে হাশিমের নাম কেটে ছবি উঠিয়ে আমাদের নাম লিখে ছবি বসিয়ে  দেবেন। মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে তার দেনমোহরের টাকা থেকে এই টাকা দিয়েছিলাম। এখন দেখছি তারা আমাদের প্রতারণা ও জালিয়াতি করেছে। সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুল হক মৃদুল বলেন, ঘটনাটি মৌখিকভাবে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে জানার পর জেলা প্রশাসককে লিখিতভাবে জানিয়েছি। জেলা প্রশাসক আমাকে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন প্রাথমিকভাবে তাদেরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হবে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর