× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আশুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ৮ মামলা, বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে
১০ মে ২০২১, সোমবার

ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে ৮টি মামলা হয়েছে আশুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সির বিরুদ্ধে। কিন্তু প্রভাব খাটিয়ে এসব মামলার তদন্ত বন্ধ করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ঘটনার শিকার পরিবারের সদস্যরা। তিন শতাধিক ঘরবাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটে সর্বস্বান্ত করা হয়েছে কয়েকশ’ পরিবারকে। চেয়ারম্যান ও তার পরিবারের অত্যাচার নির্যাতনে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কয়েক হাজার নারী পুরুষ। গতকাল নির্যাতিত পরিবারগুলোর অর্ধশত নারী ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নার্গিস বেগম বলেন, গত ২২শে জানুয়ারি রাতে চরচারতলা গ্রামের লতিফ বাড়ি ও মুন্সি বাড়ি গোষ্ঠীর মধ্যে ঝগড়া হয়। অন্ধকারে সংঘটিত ওই ঝগড়ায় টেঁটার আঘাতে উপজেলা চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সির ভাই জামাল মুন্সি নিহত হন। পরবর্তীতে জামাল মুন্সির বড়ভাই জাহাঙ্গীর মুন্সি বাদী হয়ে ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আর ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
এরপর থেকেই প্রতিপক্ষের ওপর অমানবিক নির্যাতন শুরু হয়। এলাকার চাঞ্চল্যকর ফাইভ মার্ডার মামলার অন্যতম আসামি হানিফ মুন্সির নেতৃত্বে কয়েকশ’ লোক লতিফ বাড়ি, খাঁ বাড়ি, খন্দকার বাড়ি ও নাগর বাড়ি বংশের তিন শতাধিক ঘর-বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটতরাজ চালায়। এ থেকে বাদ যায়নি ৬০-৬৫টি প্রবাসী পরিবারও। লুটতরাজে কোনো ঘরে ভাত খাবার থালা-বাটিও রাখা হয়নি। শতাধিক গরু-মহিষ, ৬০টি মোটরসাইকেল, দেড়শো একর জমির ফসল এবং কয়েকশ’ গাছ কেটে নেয়া হয়। হানিফ মুন্সি আওয়ামী লীগের পদের অপব্যবহার করে তাদেরকে সর্বস্বান্ত করে পথে বসিয়েছেন উল্লেখ করে বলা হয় এ ঘটনায় আশুগঞ্জ থানায় মামলা করতে গেলে ওসি মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানান।
পরবর্তীতে আদালতে ৮টি মামলা করা হয়েছে। আদালত মামলাগুলো পিবিআই ও সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন। কিন্তু হানিফ মুন্সি প্রভাব খাটিয়ে মামলার তদন্ত কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে চার বংশের ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর পক্ষে সুমি আক্তার, পুতুল বেগম, মনোয়ারা বেগম, জান্নাত, লিলুফা ইয়াছমিন, রুজি বেগম বকুল বেগম প্রমুখ
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর