সিলেটের ওসমানীনগরে বিয়ের ৮ মাসের মাথায় শ্বশুর বাড়ির লোকজনের নির্যাতনে শরিফা বেগম (২০) নামের এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শনিবার দুপুরে নিহত গৃহবধূ শরিফার স্বামী উপজেলার উছমানপুর ইউপির তাহিরপুর গ্রামের আরশ আলীর বসতঘর থেকে শরিফার লাশ উদ্ধার করে ওসমানীনগর থানা পুলিশ। নিহত শরিফা বেগম নবীগঞ্জ উপজেলার পিটুয়া গ্রামের শাকিম উল্যার ছোট মেয়ে। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূ শরিফার বড় ভাই ইসলাম উদ্দিন বাদী হয়ে শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ৯টার দিকে নিহতের স্বামী ও শাশুড়িকে আসামি করে ওসমানীনগর থানায় মামলা করেছে। মামলার প্রেক্ষিতে নিহতের স্বামী আরশ আলী ও শাশুড়ি মিনারা বেগমকে গ্রেপ্তার করে গতকাল সকালে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। পুলিশ ও নিহত গৃহবধূর পিতার পরিবার সূত্রে জানা, শুক্রবার সন্ধ্যায় শরিফার পিত্রালয় থেকে স্বামীর বাড়ির লোকজনের জন্য ঈদের নতুন কাপড় না আসাকে কেন্দ্র করে শাশুরির সঙ্গে কথা কাটাকাটির জের ধরে আরশ আলীও মিনারা বেগম মিলে মারপিট করেন শরিফাকে। বিষয়টি তাৎক্ষণিক মোবাইল ফোনের মাধ্যমে শরিফা তার ভাইকে অবগত করে। শনিবার বড় বোন শিপন আক্তার শরিফার স্বামী শাশুড়ির জন্য নতুন কাপড় নিয়ে আরশ আলীর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলেই পথিমধ্যে শরিফার ভাসুরের মাধ্যমে খবর পান তার বোন খুবই অসুস্থ।
এর কিছুক্ষণের মধ্যে আবার খবর আসে শরিফা আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে দুপুরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শরিফার লাশ স্বামীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে। ওসমানীগর থানার ওসি শ্যামল বলেন, নিহতের শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার প্রেক্ষিতে গৃহবধূর স্বামী ও শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।