সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালকেও ভ্যাকসিন দেয়ার ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু অধিকাংশ রাজ্য সরকার যখন বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেয়ার ব্যবস্থা করেছে তখন এই প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে চড়া দামে। এই হাসপাতালগুলোতে কোভিশিল্ড-এর এক একটি শট এর দাম ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা। কোভ্যাকসিনের দাম ১২৫০ থেকে ১৫০০ টাকা। বিভিন্ন রাজ্য যখন ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য মাথা কুটে মরছে তখন ভারতের চারটি গ্রুপে স্পেশালিটি হাসপাতালের ওয়েবসাইট দেখাচ্ছে তাদের কাছে ভ্যাকসিন মজুত আছে। দিল্লিতে প্রতিদিন লাগে এক লক্ষ ভ্যাকসিন। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, চার-পাঁচ দিনের ভ্যাকসিন কেবল মজুত আছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিন কোটি ভ্যাকসিন টাকা দিয়ে কিনে নিতে চেয়েছেন, কিন্তু পাচ্ছেন না। প্রাইভেট হাসপাতালগুলোও অবশ্য জানিয়েছে, তাদের ভ্যাকসিন ভাঁড়ারেও টান পড়ছে। কারণ সেরাম এবং ভারত বায়োটেক জানিয়েছে, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম।
অর্থাৎ ভারতে ভ্যাকসিনের কালোবাজারি হয়তো বা শুরু হয়ে গেল জোরকদমে।