অনলাইনে ভাইরাল একটি ভিডিও। এক ব্যক্তি তার নিজের ১৬ বছর বয়সী মেয়ের লাশ খাটিয়ায় করে বহন করছেন কাঁধে করে। গ্রাম থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে জেলা শহরে লাশের ময়না তদন্ত করাতে হবে বলে এই কষ্টগাঁথা শোকযাত্রা। ওই ব্যক্তির মেয়ে আত্মহত্যা করার পর গ্রামে যায় পুলিশ। পরিবারের সদস্যদের নির্দেশ দেয় লাশের ময়না তদন্ত করাতে। কিন্তু দরিদ্র পরিবার তার। গাড়ি ভাড়া করে লাশ জেলা শহরে নেয়ার মতো সামর্থ নেই তাদের। কোনো রকম গাড়ি চলাচলেরও অনুমতি নেই। অগত্যা পুলিশের নির্দেশ মানতে তো হবে! তাই মেয়েটির পিতা ধীরাপতি সিং গন্ড এবং গ্রামের কয়েকজন মিলে খাটিয়ায় তুলে নেন লাশ। খুব সকালে পায়ে হেঁটে তা বহন করে নিয়ে যান জেলা শহরে। এই জার্নিতে সময় লেগে যায় ৭ ঘন্টা। কেউ একজন এ দৃশ্য ভিডিওতে ধারণ করে অনলাইনে পোস্ট করতেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। ভারতীয় গণমাধ্যমে এ নিয়ে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়, ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের সিংগ্রাউলি জেলার। সেখানকার গাদাই গ্রামে ৫ই মে আত্মহত্যা করে ধীরাপতির ১৬ বছর বয়সী ওই মেয়ে। এ খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়। তারা লাশের ময়না তদন্তের নির্দেশ দিয়ে ফিরে যায়। ধীরাপতি বলেন, মেয়ের লাশ কাঁধে নিয়ে আমরা সকাল ৯টার দিকে যাত্রা শুরু করি। হাসপাতালে পৌঁছি প্রায় বিকেল ৪টায়। আমরা বড় অসহায় হয়ে পড়েছি। আমাদের সামনে এত্তবড় একটি সমস্যা। কিন্তু কেউ একটু সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়নি। তিনি আরো বলেন, তার গ্রাম থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে রাস্তা। লাশ বহনের জন্য কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল একটি গাড়ির ব্যবস্থা করা। জবাবে পুলিশ কর্মকর্তা অরুণ সিং বলেন, পোস্ট মর্টেম করার জন্য লাশ পরিবহন খাতে কোনো অর্থ বরাদ্দ নেই। ফলে তারা কোনো পরিবহন ব্যবস্থা করতে পারেননি।