× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

উৎখাতের মুখোমুখি ফিলিস্তিনিরা বাঁচিয়েছিল ইহুদি অধ্যাপকের পরিবারকে

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(২ বছর আগে) মে ১০, ২০২১, সোমবার, ৩:৫৭ অপরাহ্ন

প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির নৃতত্ত্ব বিষয়ক ইহুদি অধ্যাপক জুলিয়া এলিয়াচারের জেরুজালেমবাসী প্র-পিতামহ রাফায়েল যখন মারা যান, তখন তার দাদার বয়স ছিল ১৩ বছর। রাফায়েলের দু’জন ব্যবসায়ী অংশীদার ছিলেন, একজন ইউরোপিয়ান ইহুদি, যিনি রাফায়েলকে ঠকিয়ে তার জীবিকা প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। আরেকজন ছিলেন জেরুজালেমের বাসিন্দা এক আরব, যিনি রাফায়েলের পরিবারকে ধ্বংসের মুখ থেকে বাঁচিয়েছিলেন। এলিয়াচারের দাদাকে নিজের সন্তানের মতোই দেখভাল করতেন ওই আরব। এখন বহু বছর পর ওই ফিলিস্তিনি অংশীদারের উত্তরসূরীদের পূর্ব জেরুজালেম থেকে উচ্ছেদ করতে চলেছে ইসরাইল। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রগতিশীল ইহুদি পত্রিকা ফরওয়ার্ডে লেখা এক নিবন্ধে এসব কথা লিখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বখ্যাত প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এলিয়াচার।

 

এলিয়াচারের লেখা উদ্ধৃত করে দ্য মিডল ইস্ট মনিটরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তার প্রপিতামহের ওই আরব ব্যবসায়ী ছিলেন তৎকালীন সময়ে জেরুজালেমের সম্ভ্রান্ত দাজানি বা দাউদি বংশের এক সদস্য। অটোমান সুলতান প্রথম সুলাইমান ১৫২৯ সালে তাদের ওই উপাধি দিয়েছিলেন।

ভাগ্যের নির্মম পরিহাসের শিকার হয়ে এখন ওই দুই পরিবারের - দাজানি ও দাউদি- সদস্যরা শেখ জারাহ এলাকা থেকে উচ্ছেদের সম্মুখীন।

 

রাফায়েলের পরিবারের প্রতি দাজানি ও দাউদিদের মহানুভবতা এবং তাদের বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যকার পার্থক্যকে চরম বেদনাদায়ক হিসেবে উল্লেখ করে এলিয়াচার ইসরাইলি সরকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আহ্বান জানান।

 

তিনি লিখেন, চরমপন্থি ইসরাইল সরকার যে ইহুদিদের কথা বলতে চায়, তেমন একজন ইহুদি হিসেবে আমার এবং আমাদের সবার দায়িত্ব এই (উচ্ছেদের) পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আপত্তি জানানো। এই পদক্ষেপ আমাদের সবাইকে এক সুতোয় বেঁধে রাখা মানবতার বিবেকবর্জিত লঙ্ঘন।

 

এলিয়াচার জানান, দাউদি ও দাজানিদের আগস্টের মধ্যে বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইলি আদালত।

কিন্তু ওই এলাকার আরো সাতটি পরিবারকে এ মাসের ২রা মে’র মধ্যেই বাড়ি ছাড়তে বলা হয়েছিল। ওই সাত পরিবারের মধ্যে রয়েছে ইসরাইলি অবৈধ বসতি স্থাপনের প্রতিবাদকারী আল-কুর্দ পরিবারও।

 

তিনি বলেন, ইসরাইলি সরকারে যে জোটই ক্ষমতায় আসুক না কেন, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় তাদের উচ্ছেদ যেন অনিবার্য হয়ে উঠেছে।

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর