× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পিপিআরসি এবং বিআইজিডি'র যৌথ গবেষণা /করোনা: শিক্ষা ঝুঁকিতে দেশের ৫৯ লাখ শিক্ষার্থী

অনলাইন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(২ বছর আগে) মে ১০, ২০২১, সোমবার, ৫:২৩ অপরাহ্ন

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে গত এক বছরের বেশি সময় ধরে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় দেশের ৫৯ লাখ ২০ হাজার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার্থী ন্যূনতম শিক্ষা থেকেও বঞ্চিত। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরে রয়েছে শিক্ষার্থীরা। এ অবস্থায় প্রাইমারিতে ১৯ শতাংশ, মাধ্যমিকের ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী নিয়মিত পড়াশোনার বাইরে আছে।

পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) এবং ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) যৌথ গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে।

সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরেন পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান। এপ্রিল ২০২০ থেকে এপ্রিল ২০২১ সাল পর্যন্ত গত একবছরের গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অফ গভরমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইমরান মতিন।

সমীক্ষার ফলাফলে বলা হয়, ৫১ শতাংশ প্রাথমিক ও ৬১ শতাংশ মাধ্যমিক শিক্ষার্থী পড়াশোনার ক্ষতি এড়াতে কোচিং ও গৃহশিক্ষকের মাধ্যমে পড়ালেখা চালিয়ে নেয়ার সুযোগ পেয়েছে। এতে আরো বলা হয়, মহামারিতে শিক্ষার ব্যয় গ্রামীণ পরিবারে ১১ গুণ ও শহুরে পরিবারে ১৩ গুণ বেড়েছে।

মহামারিতে দেশে দারিদ্র্যের রূপ কিভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে তা জানতে পিপিআরসি এবং বিআইজিডি যৌথভাবে দেশজুড়ে তিন ধাপে টেলিফোন জরিপ করে। ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত এটি করা হয়।
এই গবেষণার তৃতীয় ধাপের দ্বিতীয় অংশ হলো ‘কোভিড ইমপ্যাক্ট অন এডুকেশন লাইফ অব চিলড্রেন’।

হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ‘এটা পরিবারগুলো, বিশেষ করে দরিদ্র পরিবারগুলোর ওপর আরো বেশি অর্থনৈতিক চাপ তৈরি করছে। ছাত্রদের পড়ালেখার যে ক্ষতির কথা সমীক্ষায় উঠে এসেছে বাস্তবে ক্ষতি হয়েছে তার চেয়েও বেশি। তাদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া না হলে তারা ড্রপআউটের ঝুঁকিতে পড়বে।’

ইমরান মতিন বলেন, ‘স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের একটি অংশের পড়ালেখা ঝুঁকিতে আছে। স্কুল খোলার পর শিক্ষার্থীরা যেন তাদের এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারে তার জন্য অবশ্যই ব্যবস্থা রাখতে হবে।’

গবেষণায় বাবা মায়েদের চারটি বেসিক চিন্তার বিষয় তুলে ধরা হয়। সেগুলো হলো- শিক্ষার প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ কমে যাওয়া।  শিক্ষার খরচ তুলনামূলক বৃদ্ধি পাওয়া। স্কুল কবে খুলবে সেটি নিয়ে চিন্তা। পড়াশোনায় পাশাপাশি চাকরি নিয়ে চিন্তা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর