× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী আন্দোলনের কবি খেত থি মারা গেছেন

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(২ বছর আগে) মে ১০, ২০২১, সোমবার, ৬:১৮ অপরাহ্ন

মিয়ানমারে সামরিক জান্তাবিরোধী আন্দোলনে যার কর্মকাণ্ড উদ্বুদ্ধ করেছে, সেই কবি খেত থি আটক অবস্থায় মারা গেছেন। পরিবারের কাছে তার দেহ হস্তান্তর করেছে জান্তা সরকার। তবে পরিবারের অভিযোগ, তার শরীর থেকে বিভিন্ন অঙ্গ সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক খবরে বলা হয়েছে, এ বিষয়ে সামরিক জান্তার মুখপাত্র প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি হয়নি। উল্লেখ্য, খেত থি সামরিক জান্তাকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন ‘তারা মাথায় গুলি করেছে। কিন্তু তারা জানে না বিপ্লব অবস্থান করে হৃদয়ে’। খেত থি’র বয়স হয়েছিল ৪৫ বছর। তার স্ত্রী চাও সু বলেছেন, তাদের দু’জনকেই সেনাবাহিনী এবং সশস্ত্র পুলিশ সেগাইং অঞ্চলের শ্বেবো শহর থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।
চাও সু বলেছেন, আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আমাকে বলা হয়েছিল, আমার স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ সেন্ট্রারে রাখা হয়েছে। কিন্তু সে আর জীবিত আমার কাছে ফিরে আসেনি। আমি শুধু তার মৃতদেহই পেলাম। সকালে তারা আমাকে ফোন করে জানায় মনিওয়াতে একটি হাসপাতালে আমার স্বামীর সঙ্গে সাক্ষাত করতে। আমি ভেবেছিলাম তার হয়তো হাত ভেঙে যাওয়ার জন্য বা অন্য কোনো সমস্যার কারণে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছার পর আমাকে বলা হয়, তার অবস্থান এখন মর্গে। দেখি তার শরীরের ভিতরকার সব গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ রেখে দেয়া হয়েছে।

হাসপাতালে খেত থি’র স্ত্রী চাও সু’কে বলে দেয়া হয়, তার হার্টের সমস্যা ছিল। এ অবস্থায় ডেথ সার্টিফিকেটও পড়ে দেখার প্রয়োজন মনে করেন নি চাও সু। কারণ তিনি নিশ্চিতভাবে জানতেন এসব কথা মিথ্যা। তিনি আরো বলেছেন, তার স্বামীকে দাফন করে ফেলার পরিকল্পনা করেছিল সেনাবাহিনী। কিন্তু তিনি আর কিছু না হোক স্বামীর মৃতদেহটি নিজের কাছে নেয়ার আকুতি জানান। তবে কিভাবে তার স্বামীর শরীর থেকে অঙ্গগুলো কেড়ে নেয়া হয়েছে সে বিষয়ে তাকে কিছুই বলা হয়নি। ওদিকে মানবাধিকার বিষয়ক অ্যাসিসট্যান্স এসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স এক বুলেটিনে বলেছে, জিজ্ঞাসাবাদকালে নির্যাতনের কারণে মারা গেছেন। এ নিয়ে ১লা ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের পর নিহত বেসামরিক মানুষের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭৮০।

অভ্যুত্থানের পর বিক্ষোভ করতে গিয়ে খেত থি সহ কমপক্ষে তিনজন কবি’কে প্রাণ হারাতে হলো। এর আগে মার্চের শুরুতে মনিওয়া শহরে বিক্ষোভকালে গুলি করা হয় কবি কে জা উইন (৩৯) কে। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে যারা বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন তার মধ্যে বেশির ভাগই সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সেলিব্রেটি। উল্লেখ্য, খেত থি একজন প্রকৌশলী। শুধু কবিতার জন্য ২০১২ সালে তিনি চাকরি ছেড়ে দেন। তারপর নিজে আইসক্রিম এবং কেক বানিয়ে তা বিক্রি করে জীবন ধারণ করতেন। অভ্যুত্থানের দু’সপ্তাহ পরে তিনি লিখেছেন, আমি হিরো হতে চাই না। শহীদ হতে চাই না। আমি দুর্বল হতে চাই না। এমনকি বোকাও হতে চাই না। অবিচারকে সমর্থন দিতে চাই না। আমার জীবনের শেষ সময়টিতেও আমার বিবেকের কাছে পরিষ্কার থাকতে চাই।
সম্প্রতি তিনি লেখার মাধ্যমে জানিয়েছেন যে, তিনি একজন গিটার বাদক, কেক প্রস্তুতকারক এবং একজন কবি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর