× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চীন নিয়ে তথ্য বিকৃত করছে অস্ট্রেলিয়ার মিডিয়া- গ্লোবাল টাইমস

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(২ বছর আগে) মে ১০, ২০২১, সোমবার, ৭:২৩ অপরাহ্ন

করোনা মহামারির কয়েক বছর আগেই করোনা ভাইরাসকে জীবাণুঅস্ত্র বানানোর আলোচনা চলছিল চীনা বিজ্ঞানীদের মধ্যে। একটি চীনা বইয়ের ফাঁস হওয়া এমন ডকুমেন্টকে এক্সক্লুসিভ দাবি করে অস্ট্রেলিয়ার পত্রপত্রিকাগুলো সম্প্রতি বিব্রতকর আর্টিকেল প্রকাশ করছে বলে দাবি করেছে চীনের রাষ্ট্র পরিচালিত অনলাইন দ্য গ্লোবাল টাইমস। এতে বলা হয়েছে, এভাবে ওই ডকুমেন্টকে বিকৃত করে উপস্থাপন করার মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর উৎস সম্পর্কে চীনকে দায়ী করে চীনের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করার চেষ্টা চলছে। গ্লোবাল টাইমস লিখেছে, চীনের নাগরিকরা এবং বিশেষজ্ঞরা মনে করছে এর মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ার পত্রপত্রিকা পেশাদারিত্বের নৈতিকতা হারাচ্ছে। এতে আরো বলা হয়, তথাকথিত লিক হওয়া ডকুমেন্ট পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাকে উদ্ধৃত করেছে অস্ট্রেলিয়ার পত্রিকা দ্য অস্ট্রেলিয়ান। এতে দাবি করা হয়েছে, কোভিড-১৯ মহামারির ৫ বছর আগে চীন করোনা ভাইরাসকে জীবাণু অস্ত্র হিসেবে বানানোর চেষ্টা করছিল কিনা তা যাচাই করে দেখছিল চীন। এমনকি রিপোর্টে জীবাণুঅস্ত্রের প্রতি চীনের যে আগ্রহ তার প্রমাণ হিসেবে এই ডকুমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে।
গ্লোবাল টাইমস দেখতে পেয়েছে যে, দ্য অস্ট্রেলিয়ান পত্রিকা যে ফাঁস হওয়া ডকুমেন্ট উদ্ধৃত করেছে তা আসলে নেয়া হয়েছে ‘দ্য আনন্যাচারাল অরিজিন অব সার্স অ্যান্ড নিউ স্পেসিস অব ম্যান মেইড ভাইরাসেস অ্যাজ জেনেটিক বায়োউইপন’ থেকে। ২০১৫ সালে এটি প্রকাশ করেছিলেন সামরিক বাহিনীর চিকিৎসক সু দেঝোং। এর স্টক শেষ হয়ে গেলেও অ্যামাজনের সেল তালিকায় দেখাচ্ছে। গ্লোবাল টাইমস লিখেছে, এই বইতে বলা হয়েছে, ২০০২ এবং ২০০৪ সালে চীনে সার্স মহামারি বিদেশ থেকে উদ্ভুত জিনগত পরিবর্তনের মতো অস্বাভাবিক উপায়ে বিস্তার ঘটেছিল। কিন্তু সেক্ষেত্রে একটি একাডেমিক বই, যাতে বায়োসন্ত্রাস এবং ভাইরাসকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের কথা রয়েছে তার বর্ণনা দিয়ে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়িয়ে দিয়েছে দ্য অস্ট্রেলিয়ান। এর উদ্দেশ্য চীনের ভাবমূর্তিকে ইচ্ছাকৃতভাবে খর্ব করা। রোববার দ্য গ্লোবাল টাইমসকে এ কথা বলেছেন, ইস্ট চায়না নর্মাল ইউনিভার্সিটির অস্ট্রেলিয়ান স্টাডিজ সেন্টারের প্রফেসর ও পরিচালক চেন হং। তিনি বলেছেন, চীনের বিরুদ্ধে আদর্শিক বিরোধিতার জন্য অস্ট্রেলিয়া থেকে এসব করা হচ্ছে। এটা লজ্জার। এর মধ্য দিয়ে সাংবাদিকতার নৈতিক পেশাদারিত্বের বিপরীত কাজ করা হচ্ছে। ওই বইয়ে যা বলা হয়েছে, তারা তাকে বিকৃত করে উপস্থাপন করছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর