× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বন্ধ হওয়ার উপক্রম খুলনার বেসরকারি ১৭ পাটকল

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
১১ মে ২০২১, মঙ্গলবার

কাঁচা পাট সংকটের কারণে খুলনার বেসরকারি ১৭ পাটকলের উৎপাদনের চাকা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন না হওয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, মধ্যপ্রাচ্য, চীন ও ভারতের বাজার হারাতে বসেছে দেশ।
জানা গেছে, পরপর তিন বছর কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় ফরিদপুর, শরীয়তপুর, যশোর ও সাতক্ষীরার চাষিরা পাট উৎপাদন কমিয়ে দেয়। গেল মওসুমে বন্যা ও আম্ফানের কারণে পাট উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে বাজারে কাঁচা পাটের সংকট দেখা দেয়। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোকাম দৌলতপুরে প্রতি মণ পাট দুই হাজার চারশ’ টাকার পরিবর্তে পাঁচ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা পাটের মূল্য বেশি থাকায় উৎপাদন সংকটে পড়েছে ফকিরহাটের জয় জুট, মুনস্টার, এএমএম জুট, রূপসার গ্লোরী, সালাম, ওহাব, ডুমুরিয়ার শাহ চন্দ্রপুরী, বটিয়াঘাটার হাবিব জুট, দিঘলিয়ার সাগর জুট, জুট টেক্সটাইল, ফুলতলার আইয়ান জুট, সুপার জুট, মিশু জুট, এফআর জুট ও যশোর জুট প্রডাক্টস। ফকিরহাটের এএমএস জুট ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়েছে।
পাট অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, সুপার জুট মিল পাট কিনতে পারছে না।
উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে। তাদের উৎপাদন খরচ হচ্ছে না। বেসরকারি পাটকলগুলোর টিকে থাকা কষ্টসাধ্য হচ্ছে। ইতিমধ্যেই যশোর-খুলনার ৯টি সরকারি পাটকলের উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে।
পাট অধিদপ্তর খুলনার মুখ্য পরিদর্শক সরজিৎ সরকারের কাছে জানতে চাইলে বলেন, বেসরকারি পাটকলগুলো পাট কিনছে কম। এমনিতেই তাদের হাতে পুঁজির সংকট। কাঁচা পাটের দাম বেড়ে যাওয়ায় পাটকলে পাটের সংকট দেখা দিয়েছে। ৩৬ বছরে এমন সংকট কখনো হয়নি। ২০১৯ সালে কাঁচা পাটের মূল্য ছিল মণ প্রতি দুই হাজার চারশ’ টাকা। এ মওসুমের মূল্য মণ প্রতি পাঁচ হাজার টাকা।
এ ব্যাপারে রূপসাস্থ সালাম জুট মিলের ম্যানেজার বশির আহমেদ জানান, প্রতিদিন এ প্রতিষ্ঠানে ১৬ টন কাঁচা পাটের প্রয়োজন ছিল। গতকাল ও মঙ্গলবার কোনো সরবরাহ নেই। উৎপাদন কমে গেছে। এক সপ্তাহ আগেই শ্রমিকদের ঈদের ছুটি দেয়া হয়েছে। তার দেয়া তথ্য মতে, মধ্যপ্রাচ্য, টারকী ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে চট ও সুতার বাজার সংকুচিত হয়েছে। মিশর ও চীনে অল্প-স্বল্প রপ্তানি হচ্ছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর