কথায় বলে, কারও পৌষ মাস কারও সর্বনাশ। কলকাতা যেন এই প্রবচনের দ্যোতক হয়ে গেছে। একদিকে কোভিড যখন প্রাণ শুষে নিচ্ছে, বাংলায় যখন সোমবার একদিনে মৃত্যুর হারে ১৩৪-এর রেকর্ড, ঠিক সেই সময় একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী কোমর বেঁধে নেমেছে কোভিড-এর জীবনদায়ী ওষুধ, অক্সিজেন এবং অ্যাম্বুলেন্সের কালোবাজারে। কোভিড-এর ওষুধ রেমডেসিভির বিক্রি হচ্ছে ৬ ফাইল ৮৪ হাজার টাকা দামে। পার্ক সার্কাসের এক বিক্রেতা গর্বের সঙ্গে বলেছেন, একদম এক নম্বর মাল দাদা, বাংলাদেশ থেকে এসেছে। কলকাতা মেডিকেল কলেজ আরএসএসকেএম হাসপাতালের কাছে অক্সিজেন সিলিন্ডার মিলছে তিনগুন দামে। কোভিড-এর রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে যে ট্রিপ এর ভাড়া নশো টাকা তা চাওয়া হচ্ছে ১২-১৪ হাজার টাকা। কলকাতার বাজারে সাধারণ ভিটামিন সি’র আকাল পড়ে গেছে।
মুনাফা লোটার জন্য ব্যাকুল এক শ্রেণির ব্যবসায়ী। সবটাই ঘটছে পুলিশের নাকের ডগায়। পুলিশের ভূমিকাও প্রশ্নচিহ্নের সামনে পড়ছে। বাংলাদেশ থেকে সম্প্রতি আসা ১০ হাজার ভায়াল রেমডেসিভির-এর অনেকটাই কালোবাজারিদের হাতে চলে গেছে বলে অনুমান। কলকাতায় এখন বাণিজ্যে নয়, কোভিডে বসছে লক্ষ্মী।